খালেদা জিয়া

খালেদা জিয়ার রূপ-যৌবনের চিন্তায় বি.চৌধুরী-ড. কামাল!

সাবেক রাষ্ট্রপতি ও যুক্তফ্রন্ট চেয়ারম্যান অধ্যাপক এ কিউ এম বদরুদ্দোজা চৌধুরী বলেছেন, জাতির ক্রান্তিলগ্নে আমি সংবিধান প্রণেতা ড. কামাল হোসেনের সঙ্গে ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করার বিষয়ে একমত হয়েছি। মঙ্গলবার বেইলি রোডে ড. কামাল হোসেনের বাসায় বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের একথা জানান তিনি। রাত ৮টা থেকে শুরু হয়ে এ বৈঠক চলে রাত ৯টা ৪৫ মিনিট পর্যন্ত।

এক প্রশ্নের জবাবে বি. চৌধুরী বলেন, ‘বৈঠকে বিএনপির বৃহত্তর ঐক্য গঠনের বিষয়ে কোনো আলোচনা হয়নি।’ বৈঠক সূত্রে জানা যায়, জাতীয় ঐক্যের ঘোষণাপত্র তৈরির জন্য চার সদস্যের একটা সাব কমিটি করার প্রস্তাব উঠে বৈঠকে, যাতে সবাই সম্মত হন।

এই কমিটির সদস্য করা হতে পারে গণফোরাম সাধারণ সম্পাদক মোস্তফা মহসীন মন্টু, বিকল্পধারার মহাসচিব মেজর (অব.) আবদুল মান্নান, জেএসডি সাধারণ সম্পাদক আবদুল মালেক রতন ও নাগরিক ঐক্যের নেতা জাহিদুর রহমান। সভায় এই নেতারা উপস্থিত ছিলেন।

বৈঠকে আরও উপস্থিত ছিলেন গণফোরাম সভাপতি ড. কামাল হোসেন, জেএসডি সভাপতি আ স ম আবদুর রব, নাগরিক ঐক্যের আহ্বায়ক মাহমুদুর রহমান মান্না প্রমুখ। এর আগে, সন্ধ্যায় বদরুদ্দোজা চৌধুরীর বারিধারার বাসায় যুক্তফ্রন্ট তাদের নিজেদের মধ্যে আলাদা বৈঠক করেন। তবে বৈঠকে কী সিদ্ধান্ত হয়েছে তা জানা যায়নি। এরপরই রাত পৌনে ৮টায় তারা আসেন বেইলিরোডে ড. কামালের বাসভবনে।

এদিকে, বৈঠকের একটি নির্ভরযোগ্য সূত্র জানিয়েছে, মঙ্গলবার সন্ধায় বৈঠকে শেষে চা চক্রের সময় আলাদাভাবে কথা বলছিলেন ড. কামাল হোসেন এবং বি চৌধুরী। তারা সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও বিএনপি চেয়ারপারসনকে নিয়ে কথা বলতে এক পর্যায়ে তার রূপ যৌবনের বিষয়ে কথা তুলেন। সূত্রটি দাবি করছে, বি চৌধুরী বলেন, বিএনপিকে দিয়ে কোনো রাজনীতিই হবে না।

কারণ একজন তার রূপচর্চা করতেই ব্যস্ত থাকেন আর তার গুণধর ছেলে তো যা ইচ্ছে তা করে বেড়াচ্ছেন। বয়সকালে এসব খালেদা জিয়া করেছেন, তা ঠিক ছিল। কিন্তু জেলখানাতেও নাকি তিনি মেকআপ করেন। এমন কথা বললে, ড. কামাল হোসেন মুচকি হেসে বলেন, বিষয়টি তো চিন্তারও। বৈঠকের একটি সূত্র জানায় বৃহত্তর জাতীয় ঐক্য গড়ার লক্ষ্যে যুক্তফ্রন্টের পক্ষ থেকে সাতটি প্রস্তাব দেওয়া হয়।

প্রস্তাবে বলা হয় জাতির ক্রান্তিলগ্নে জাতীয় স্বার্থে জামায়াতে ইসলামী ও অন্যান্য স্বাধীনতাবিরোধী দল ব্যাতিরেকে সব সমমনা অসাম্প্রদায়িক গণতান্ত্রিক ও মুক্তিযুদ্ধের পক্ষের দলসমূহের ঐক্য জরুরি। বাক, ব্যক্তি, সংবাদপত্র, টেলিভিশন, সভা-সমিতির স্বাধীনতা নিশ্চিত করা। আইনের শাসন প্রতিষ্ঠা-বিচার বিভাগের স্বাধীনতা। নিরপেক্ষ গ্রহণযোগ্য নির্বাচন সম্পন্ন করা। রাজনৈতিক স্বেচ্ছাচারিতা বন্ধের জন্য সংসদ ও সরকারের ভারসাম্য নিশ্চিতকরণ।

নির্বাচনের তফসিল ঘোষণার আগে রাজনৈতিক দলসমূহের সঙ্গে আলোচনার মাধ্যমে নির্বাচনী রোডম্যাপ ঘোষণা ও নির্বাচনের আগে সংসদ ভেঙে দেওয়া ও প্রধানমন্ত্রী-মন্ত্রিসভা বাতিল ঘোষণা। এই মুহূর্ত থেকে নির্বাচন শেষ না হওয়া পর্যন্ত কোনো দলের কর্মীকে গ্রেফতার করা যাবে না এবং তফসিল ঘোষণার আগে সব ছাত্র-ছাত্রী ও রাজনৈতিক বন্দিদের মুক্তি দিতে হবে বলে প্রস্তাবে উল্লেখ করা হয়। তবে প্রস্তাবগুলো নীতিগতভাবে গ্রহণ কিংবা বাতিলও করা হয়নি। কমিটি গঠনের পর এই প্রস্তাবগুলোর ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নেয়া হবে বলে জানা যায়।

শেয়ার করুন: