মানুষ নয়, ভূতকেই বিয়ে করলেন যে নারী!

মানুষের সাথে ভূতের বিয়ে হতে পারে, এটা ভাবাটাই এক ধরনের পাগলামি বলে মনে হতে পারে আপনার কাছে। কিন্তু পৃথিবীতে এমন বিচিত্র অনেক কিছুই ঘটে, যার ব্যাখ্যা দেয়া আসলেই কঠিন। তেমনই একটি ঘটনার জন্ম হয় আয়ারল্যান্ডে। ২৩শে জুলাই ২০১৬।

Thank you for reading this post, don't forget to subscribe!

আমান্ডা তেগ নামের আইরিশ এক নারী বিয়ে করেন জ্যাক তেগ নামের এক যুবককে। আমান্ডার ভাষ্য মতে, জ্যাক তেগ হাইতির অধিবাসী। আটলান্টিক মহাসাগরে এক ছোট নৌকায় অনুষ্ঠিত হয় তাদের বিয়ে। সেসময় আবহাওয়া ছিল ভীষণ দুযোর্গপূর্ণ। চারিদিকে বইছিল ঝড়ো বাতাস। তার মাঝেই বধূবেশে দারুন সাজে সজ্জিতা হয়ে বসে ছিলেন আমান্ডা। ঝড় থামার পর, জানা গেল প্রকৃত সত্য।

জ্যাক তেগ আসলে এক জলদস্যু, যার মৃত্যু ঘটেছে আরো তিনশ বছর আগে! আয়ারল্যান্ডের পত্রিকায় শিরোনাম হল, ‘তিনশ বছরের পুরনো ভূতের সাথে আমান্ডার বিয়ে।’ রাতারাতি জনপ্রিয়তা পেল এই কাহিনী। মিডিয়ায় একাধিকবার কথা বললেন আমান্ডা। জানালেন ২০১৫ সাল থেকেই তিনি তিনশ বছর আগের জলদস্যু জ্যাককে মনে মনে ভালোবাসেন।

আয়ার‌ল্যান্ডে তার সাথে জ্যাকের এক ধরনের আধ্যাত্নিক সম্পর্কও তৈরী হয়েছে। সম্পর্ক এতোটাই গভীর যে, শেষ পর্যন্ত জ্যাকের বিচরণভূমি আটলান্টিক মহাসাগরে গিয়ে তাকে বিয়ে করেন আমান্ডা। পাইরেটস অব দা ক্যারিবিয়ানের জলদস্যু জ্যাক স্প্যারোর সাথে সাদৃশ্য থাকায়, তার চরিত্রে অভিনয় জনি ডেপের ছবি নিয়েই মেতে থাকেন আমান্ডা।

প্রশ্ন উঠেছিল বিয়ের আইনগত ভিত্তি নিয়ে। তবে আমান্ডা জানান তিনিই যুক্তরাজ্যের প্রথম নারী, যে স্বীকৃত উপায়ে ভূতকে বিয়ে করতে সমর্থ হয়েছে। তিনি তার আইন উপদেষ্টার পরামর্শ মেনেই সমস্ত বিধি-বিধান মাফিক বিয়ের রেজিস্ট্রি কাজ সম্পাদন করেছেন, বলেও উল্লেখ করেন।

বর্তমানে আর দশটা নারীর মতো আমান্ডাও তার ভূত স্বামীকে নিয়ে দিব্যি সুখে শান্তিতে ঘর সংসার করছেন। নিজের বিয়ে নিয়ে এক সংবদামধ্যমে দেয়া সাক্ষাৎকারে আমান্ডা বলেন, ‘সে আমার আত্মার আত্মীয়। তাকে নিয়ে আমি সুখে আছি। যারা অলৌকিক সম্পর্কে বিশ্বাস করেন না, তাদের জন্য আমার এই বিয়ে একটা বার্তা।’

শেয়ার করুন: