অধিক লাভের আশায় খাদ্যে ভেজালের কারবার দিনের পর দিন বেড়েই চলেছে। নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিস থেকে শুরু করে খাদ্যদ্রব্য পর্যন্ত প্রায় সব কিছুতেই বিভিন্ন ভাবে ভেজালের ব্যবহার এখন প্রতিদিনের ব্যাপার।
দুধ অত্যান্ত পুষ্টিকর খাদ্য আর এর চাহিদাও অনেক । এরই সুযোগে কিছু অসাধু ব্যবসায়ী বেশি লাভের আশায় দুধে ভেজাল দিয়ে গ্রাহকদের প্রতারিত করে। এই ভেজালের দৌরাত্মের প্রতিযোগিতায় সম্প্রতি আরেক নতুন ভেজালের অতংক তৈরি করে সোশ্যাল মিডিয়া বা সংবাদ মাধ্যমগুলির বিভিন্ন সংবাদ।
বর্তমানে সোশ্যাল মিডিয়া বা সংবাদ মাধ্যমগুলির মাধ্যমে জনসাধারণের মধ্যে অনেক ভেজাল দেওয়ার খবর দেখতে পাই। তা দেখে আমরা সচেতন হতে পারি তবে আমরা কী ভাবে চিনব ভেজাল দুধ? তেমন কোনও উপায় আছে কি? উপায় আছে। জেনে নিন ভেজাল দুধ চেনার সহজ উপায়-
১। কিছুটা দুধ নিয়ে তার মধ্যে সালফিউরিক অ্যাসিড মিশিয়ে দেখুন। যদি নীল রং দেখা যায়, বুঝতে হবে ফর্মালিন মেশানো রয়েছে দুধে। ২। অনেক সময় দুধে কার্বোহাইড্রেট মেশানো হয়। আধা কাপ দুধ একটা পাত্রে নিয়ে তার মধ্যে ২ চামচ লবণ দিন। দুধের রং নীল হয়ে যায় বুঝতে এতে কার্বোহাইড্রেট মেশানো হয়েছে। ৩। ভেজাল দুধ হাতে নিয়ে ঘষলে সাবানের মতো অনুভূতি হবে।
৪। ফাঁকি দেয়ার জন্য অসাধু ব্যবসায়ীরা আটা, গুঁড়া দুধ, ময়দা এমনকি চালের গুঁড়োও দুধের সঙ্গে মেশান। এতে দুধের আপেক্ষিক ঘনত্বের খুব বেশি হেরফের হয় না। দুধে এসব ভেজাল মেশানো আছে কি না, তা বোঝার জন্য দু চামচ দুধ একটি কাপে নিন। এতে দুই ফোঁটা টিংচার আয়োডিন মিশিয়ে দিন। দুধের রং হালকা নীল হলে বুঝবেন, এতে ভেজাল হিসেবে আটা বা ময়দা মেশানো রয়েছে।
৫। কয়েক ফোঁটা দুধ ঘরের মেঝেতে ঢেলে দিন। মাটির ঢাল অনুযায়ী দুধ গড়িয়ে যাবে। দুধ খাঁটি হলে মেঝেতে সাদা দাগ পড়বে। কিন্তু ভেজাল দুধে কোনও দাগ থাকবে না।