গোলাপের পাপড়ির মতো ঠোঁট কে না চায়! ঠোঁট মানুষের সৌন্দর্য কে আরো আকর্ষণীয় করে তোলে। ঠোঁট গোলাপি করার জন্য আমরা লিপস্টিক সহ নানা ধরনের প্রসাধনী ব্যবহার করে থাকি। যা আমাদের কোমল ঠোঁটে অনেক বেশি ক্ষতিকর প্রভাব ফেলে। এছাড়াও রূপ চর্চা করতে গিয়ে পার্লারে যাই এবং অনেক টাকা এর পিছনে ব্যয় করি কিন্তু অনেকেই ভুলে যাই যে ঠোঁটের যত্ন আমরা নিজেরাই নিতে পারি, আর অযত্ন ও অবহেলার কারনেই আমাদের ঠোঁট কালো হয়ে যায়।
আর পুরুষরা তো রূপ চর্চা করে না বললেই চলে সিগারেট খাওয়ার ফলে ঠোঁটের সজীব কোষ গুলো হয়ে ওঠে নির্জীব। তাই আজ আমরা জানবো মাত্র দুটি উপাদানেই কিভাবে পেতে পারেন বাচ্চা দের মতো গোলাপি ঠোঁট। যা যা লাগবে-
চিনি: রূপ চর্চায় চিনির রয়েছে অনেক বেশি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা। এটি আমাদের ত্বকের প্রাকৃতিক স্ক্রাব হিসেবে কাজ করে। আর ত্বককে করে তোলে সজীব ফ্রেশ একদম ভেতর থেকে।
অলিভ অয়েল: অলিভ অয়েলে রয়েছে ভিটামিন ই মিনারেলস, খনিজপদারথ এবং অলিভের প্রাকৃতিক নির্যাস যা আমাদের ত্বকের ভেতর থেকে পুষ্টি জোগায় ঠোঁটকে করে তোলে নরম সুন্দর আকর্ষণীয়। কটন/ তুলা পরিষ্কার তুলা এটি আপনার ঠোঁটে স্ক্রাবিং করার জন্য ব্যবহার করতে হবে।
যা করতে হবে: প্রথমে একটি বাটিতে এক চা চামচ পরিমান চিনি নিতে হবে। তারপর এতে মিশ্রণ টি তরল করার জন্য পরিমাণ মতো অলিভ অয়েল মেশাতে হবে। এমন ভাবে মেশাতে হবে যাতে চিনির ক্রিস্টাল গুলো ভেঙে না যায় এই ক্রিস্টাল গুলো ত্বকের স্ক্রাবিং এ সাহায্য করে।
এরপরে একটি পরিষ্কার তুলার সাহায্যে ঠোঁটের উপরে মিশ্রণ টি আলতো করে ঘষতে হবে এতে করে আপনার ঠোঁটের উপরে মরা চামড়া গুলো ঝড়ে যাবে এবং মাসাজের ফলে ব্লাড সার্কুলেশন বেড়ে ঠোঁটের ন্যাচরাল গোলাপি স্কিন সেলস ভেসে উঠবে। এভাবে দেড় থেকে দু মিনিট স্ক্রাবিং করার পরার না ধুয়ে আরো কিছু সময় রেখে দিতে হবে। শুকিয়ে গেলে পরিষ্কার পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলতে হবে। বাচ্চা দের মতো নরম সুন্দর গোলাপি ঠোঁট পেতে সপ্তাহে দুই থেকে তিন দিন স্ক্রাবিং করুন আর আরো ভালো ফল পেতে টানা কিছু দিন এই টিপসটি ফলো করুন। ব্যাস নিমেষেই পেয়ে যান নরম সুন্দর গোলাপি ঠোঁট এবং করে তুলুন নিজেকে আরো আকর্ষণীয়।