যে কারণে মহাসড়কে গরুবোঝাই কোনো ট্রাক থামাতে পারবে না পুলিশ!

সুনির্দিষ্ট তথ্য ছাড়া সড়ক বা মহাসড়কে কোরবানির গরুবোঝাই কোনো ট্রাক থামাতে পারবে না পুলিশ। সড়ক-মহাসড়কে ট্রাফিক ব্যবস্থাপনা ও কোরবানির পশুরহাটের নিরাপত্তা নিয়ে শনিবার জেলা পুলিশ লাইনে আয়োজিত মতবিনিময় সভাশেষে এ কথা জানিয়েছেন চট্টগ্রামের পুলিশ সুপার নূরে আলম মিনা।

এ সময় তিনি বলেন, চাঁদাবাজি ঠেকাতে সড়ক-মহাসড়কে গরুবোঝাই ট্রাক থামানোর ওপর নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে।

পাশাপাশি জনদুর্ভোগ কমাতে সড়ক বা মহাসড়কের ওপর কোনোরকম কোরবানির পশুরহাট বসানোর ওপরও নিষেধাজ্ঞার কথা জানান তিনি। তিনি জানান, সুনির্দিষ্ট তথ্য ছাড়া সড়ক বা মহাসড়কে কোরবানির গরুবোঝাই ট্রাক থামাতে পারবে না পুলিশ।

মাঠ পর্যায়ে দায়িত্বরত পুলিশকে আমরা এই বিষয়ে কঠোর নির্দেশনা দিয়েছি। সুনির্দিষ্ট তথ্য থাকলেও সহকারী পুলিশ সুপার কিংবা তদূর্ধ্ব কর্মকর্তার উপস্থিতিতে ট্রাক থামাতে পারবেন মাঠের পুলিশ সদস্যরা।

এছাড়া সড়ক-মহাসড়কে গরুবোঝাই ট্রাকে চাঁদাবাজি ঠেকাতে তিনি অনুরোধ করেন, এখন সবার হাতে হাতে স্মার্টফোন, ছবি তুলে যেন আমাদের দেওয়া হয়। তাহলে কঠোর অ্যাকশন নেবো।

অনেক সময় পুলিশ সদস্যরা সরাসরি নয়, দালাল দিয়েও চাঁদাবাজি করেন। সেই তথ্যও যদি আমরা পাই, যথাযথ আইনি পদক্ষেপ নেবো। নূরে আলম মিনা আরও বলেন, আমরা সড়ক বা মহাসড়কে কোনোভবে গবাদিপশুর হাট বসতে দেবো না। তিন শিফটে আমাদের তিন হাজার পুলিশ সদস্য চব্বিশ ঘণ্টা দায়িত্ব পালন করবে।

হাইওয়ে পুলিশও আমাদের সঙ্গে যৌথভাবে কাজ করবে। মহাসড়কে যাতে অনুমোদনবিহীন কোনো গাড়ি না চলে, আমরা সেটা দেখবো। এছাড়া, যেকোনো ধরনের অভিযোগ জানাতে এবং সেবা পেতে যোগাযোগের জন্য একটি নিয়ন্ত্রণ কক্ষ খোলা হচ্ছে।

গোয়েন্দা কার্যক্রম অব্যাহত থাকবে। জঙ্গি কর্মকাণ্ড না ঘটে সে বিষয়েও পুলিশ সতর্ক থাকবে। পাশাপাশি জালনোট ঠেকাতে কোরবানির পশুর প্রত্যেক হাট-বাজারে শনাক্তকরণ মেশিন স্থাপন করা হবে।

শেয়ার করুন: