কোরবানি

শরিকের উপার্জন হারাম হলে কি কোরবানি হবে? জেনে নিন...

সামর্থ্যবান মুসলমানের জীবনে একবার হজ পালন করা অবশ্য কর্তব্য। সব সময় চর্চা হয় না বলে হজ পালন সম্পর্কে অনেক কিছুই জানা থাকে না। হজের শুদ্ধ পদ্ধতি, হজের প্রস্তুতি নিয়ে জানা মুসলিমদের কর্তব্য।

প্রশ্ন : আমরা তো গরু কোরবানি দেই সাত ভাগে। এই সাত ভাগের অন্যান্য শরিক যাঁরা আছেন, তাঁদের যদি কারো অসৎ পথে রোজগার থাকে বা ঘুষখোর হয় অথবা আমি জানি না তাঁর উপার্জন কি উপায়ে হচ্ছে? এ রকম কেউ যদি শরিক থেকে থাকেন, তাহলে আমার সেই কোরবানিটা কি আদায় হবে?

উত্তর : যার সম্পর্কে জানেন না, সেটা নিয়ে আর ঘাটানোর দরকার নেই। এতটুকুই যথেষ্ট যে, আপনি জানেন না। তাহলে আপনি মনে করবেন যে, তাঁর উপার্জন হালাল, হারাম নয়। সন্দেহ করার কোনো প্রয়োজন নেই। এটি জায়েজ এবং কোরবানি হয়ে যাবে।

যার ব্যাপারে নিশ্চিত হয়েছেন যে তাঁর উপার্জন হারাম, আর ততদিনে যদি আপনার কোরবানি হয়ে যায় তাহলে আপনার কোরবানি হয়ে গেছে। আর যদি কোরবানির আগেই নিশ্চিত হন, তাহলে চেষ্টা করবেন শরিক থেকে তাঁকে সরিয়ে দেওয়ার জন্য।

কিন্তু যদি সেটা সম্ভব না হয়, তাহলে আপনার কোরবানি হয়ে যাবে, কোনো অসুবিধা নেই। যেহেতু হয়তো আগে থেকে চুক্তি হয়ে গেছে, এখন সরানো সম্ভব হচ্ছে না। আপনার অংশ যদি শুদ্ধ থাকে, তাহলে আপনার কোরবানি হয়ে যাবে।

শেয়ার করুন: