শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান-ছাত্রী

একটি ‘স্যরি’ থামাতে পারে কিশোর আন্দোলন

'স্যরি' ছোট্ট একটা শব্দ । কিন্ত এর যে কত বড় ক্ষমতা। কিন্ত আমরা কেউই এগিয়ে এসে প্রথমে এটা বলতে চাই না । আমাদের সবার রয়েছে অনেক আত্মসম্মানবোধ। সবার ধারণা 'স্যরি' বললে সে ছোট হয়ে যাবে । এই নিয়ে চলে রশি টানাটানি, ঠেলা ঠেলি। আমাদের সবার চাওয়া আমি কেন, ও এসে 'স্যরি' বলুক।

ছাত্রদের আন্দোলনটা যে পর্যায় এসে দাঁড়িয়েছে, এখন প্রয়োজন একটা মধুর সমাপ্তির। প্রয়োজন একটা ‘স্যরি’র। বড় ধরনের অনিষ্ট ডেকে আনার আগে এই স্যরির বড্ড প্রয়োজন । আমরা যারা বড় তাদের উপর এই দায়িত্বটা প্রথম বর্তায়। তাই যদি হয় তাহলে সরকার প্রধান চুপ কেন? কেনই বা তিনি কানে তুলো আর চোখে ঠুলি পরে আছেন?

সরকার প্রধান শুধু একবার সামনে এসে বললেই হয়, ‘তোমরা আমার সোনার ছেলে । তোমাদের হাতে জাতির ভবিষ্যত । তোমরা রোদ, বৃষ্টিতে ভিজতেছো এটা ভালো হচ্ছে না । যাও তোমরা ঘরে ফিরে যাও, আমি দেখছি সব কটা কার্লপিটকে কীভাবে শায়েস্তা করা যায়।’ পুলিশ বাহিনী ও বলতে পারেন, ‘যা হইছে এখানেই তার সমাপ্তি । তোমরা আমাদের চোখ খুলে দিয়েছো। দেখি তোমাদের পথে চলে সব কিছু লাইন এ আনা যায় কিনা ।’

ছাত্র -ছাত্রীরা বলতে পারেন, ‘আঙ্কেল আন্টি এত দিন যা হলো তার জন্য স্যরি। আমাদের কাজ ছিল, আমাদের দাবি আপনাদের কান পর্যন্ত তুলে দেওয়া, সমস্যার মূলে সমাধান খোজা। জাতির ঘুমন্ত বিবেককে জাগিয়ে তোলা। এবার বাকিটা আপনারা দেখুন।’ অভিভাবকরা বলতে পারেন, ‘জলে নেমে কুমিরের সাথে ঝগড়া করা সাজে না। যা হইছে ভাল হইছে, চল বাবা এবার ঘরে চল । তোর মাথার চুল ঠিক করে দিচ্ছি, ব্যাগ গোছা তোকে স্কুলে /কলেজে দিয়ে আসি।’

আমি কি এতখন স্বপ্ন দেখছিলাম । যদি স্বপ্নই দেখি, স্বপ্ন শেষে সকালে যেন দেখতে পাই স্বপ্নটাই বাস্তব হয়েছে । মহান সৃষ্টিকর্তার কাছে এই আমার চাওয়া। দেশের এই অচলায়তন দেখতে ভালো লাগছে না। শরিফুল ইসলাম: গণমাধ্যমকর্মী।

শেয়ার করুন: