সিলেট সিটি করপোরেশন (সিসিক) নির্বাচনে এগিয়ে থেকেও চূড়ান্ত ফল পেতে অপেক্ষা করতে হচ্ছে বিএনপি সমর্থিত মেয়র প্রার্থী আরিফুল হক চৌধুরীকে।
গতকাল সোমবার ভোট গ্রহণের সময় গোলযোগের কারণে স্থগিত করা হয় দুটি কেন্দ্রের ভোট। এই দুই কেন্দ্রে পুনরায় ভোট গ্রহণ করা হবে কি না, সে বিষয়ে প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কে. এম. নুরুল হুদা সিদ্ধান্ত নেবেন বলে জানিয়েছেন সিসিক নির্বাচনের দায়িত্বে থাকা রিটার্নিং কর্মকর্তা মো. আলীমুজ্জামান। তাই ১৩২টি কেন্দ্রে এগিয়ে থেকেও অপেক্ষা করতে হবে আরিফুল হককে।
আঞ্চলিক নির্বাচন অফিসের ফল ঘোষণার কেন্দ্র থেকে প্রকাশিত ১৩২টি কেন্দ্রের মধ্যে আরিফুল হক চৌধুরী পেয়েছেন ৯০ হাজার ৪৯৬ ভোট এবং নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী আওয়ামী লীগ মনোনীত মেয়র প্রার্থী বদর উদ্দিন আহমদ কামরান পেয়েছেন ৮৫ হাজার ৮৭০ ভোট।
সেই হিসেবে আরিফুল হক চৌধুরী সিসিক নির্বাচনে ১৩২টি কেন্দ্রে চার হাজার ৬২৬ ভোটে এগিয়ে রয়েছেন। অপরদিকে, স্থগিত হওয়া দুটি কেন্দ্রের মোট ভোটার চার হাজার ৭৮৭। নির্বাচনী এই হিসেবে বিজয় নিশ্চিত করার জন্য ১৬১টি ভোট প্রয়োজন ছিল আরিফুল হকের।
ঠিক এ অবস্থায় সিসিক নির্বাচনের রিটার্নিং কর্মকর্তা আলীমুজ্জামান জানিয়েছেন, যেহেতু আরিফুল হক চার হাজার ৬২৬টি ভোটে এগিয়ে আছেন এবং এর মধ্যে ১৬১টি ভোট পেলেই তিনি বিজয়ী হবেন; তাই স্থগিত দুই কেন্দ্রের ভোটের ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নেবেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার।
রিটার্নিং কর্মকর্তা আরো জানান, স্থগিত দুই কেন্দ্রের ভোটের ব্যাপারে সিদ্ধান্ত গ্রহণের জন্য আজ মঙ্গলবার (৩১ জুলাই) প্রধান নির্বাচন কমিশন বরাবর চিঠি পাঠানো হবে। তিনিই ঠিক করবেন, নতুন করে ভোট হবে নাকি আরিফুল হক চৌধুরীকে বিজয়ী ঘোষণা করা হবে।
গতকাল সকাল ৮টা থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত নির্বাচন সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণভাবে সম্পন্ন হয়েছে বলে আওয়ামী লীগ মনোনীত মেয়র প্রার্থী বদর উদ্দিন আহমদ কামরান দাবি করেছিলেন।
কিন্তু ভোটের ফল প্রকাশের একপর্যায়ে আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক মিসবাহ উদ্দিন সিরাজ রিটার্নিং কর্মকর্তা বরাবর ভোটের ফল ঘোষণা স্থগিতের আবেদন করেন।
আবেদনে মিসবাহ উদ্দিন সিরাজ বলেন, স্থানীয়ভাবে আওয়ামী লীগের এজেন্টদের মাধ্যমে পাওয়া ফলাফলের সঙ্গে নির্বাচন কমিশনের ঘোষিত ফলাফলে ১০-১৫ হাজার ভোটের ব্যবধান রয়েছে। তাই ফল ঘোষণা বন্ধ রেখে পুনর্গণনা করার অবেদন করা হয়েছে।
অন্যদিকে, দিনভর বিএনপির মনোনীত প্রার্থী আরিফুল জাল ভোট এবং কেন্দ্র দখলের অভিযোগ করেছিলেন ক্ষমতাসীন দলের নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে।
সব ঘটনার পর এখন নগরবাসীর চোখ প্রধান নির্বাচন কমিশনারের দিকেই। তাঁর ওপরই নির্ভর করছে স্থগিত ভোটকেন্দ্রে আবার ভোট গ্রহণ করা হবে কি না।
-ntv