মেয়ের স্তন পান করে বেঁচেছিলেন বাবা!

বাবা আর মেয়ের সম্পর্ক আদিকাল থেকেই চিরন্তন। আদিকাল থেকেই প্রত্যেক বাবাই তার মেয়েকে একটু বেশিই ভালবাসেন।নিখাদ সে ভালবাসায় সামর্থের মধ্যে থাকা মেয়েদের কোন আবদারই কখনো অপূর্ণ রাখেন না বাবারা। কখনো কখনো অসম্ভবকেও সম্ভব করতে চান মেয়ের আবদার পূরণ করার জন্য।

মেয়েরাও অনেক বেশি ভালবাসেন বাবাকে। সেই বাবাই যদি চোখের সামনে না খেয়ে তিলে তিলে মারা যেতে থাকেন তা কি কোন মেয়েই সহ্য করতে পারবে? আর তাইতো এক সময় নিজের স্তন পান করিয়ে মেয়ে তার বাবাকে নিশ্চিত মৃত্যুর হাত থেকে বাঁচিয়েছিলেন।

এই ছবিটি দেখার পর আপনার মনের মাঝে হয়ত নানা প্রশ্ন জাগতে পারে। তবে ছবিটির সত্যতা জানার পর আপনার বিবেক একটু হলেও নাড়া দেবে এটা নিশ্চিত। ছবিটি ইউরোপের চিত্রশিল্প ‘মুরলির’ চিত্রায়ন করা।

ইউরোপের একটি দেশে এক সময় এই লোকটির না খেয়ে মৃত্যুর শাস্তি দেওয়া হল। লোকটিকে কারাগারে বন্দী করে রাখা হল। তার শাস্তির ধরন ছিল এমন, যতদিন না তার মৃত্যু হয়- ততদিন ওনাকে না খেয়েই থাকতে হবে। এমতাবস্থায় ওই লোকটির একমাত্র কন্যা বাবাকে দেখার জন্য সরকারের কাছে অনুরোধ জানায়।

অনুরোধক্রমে প্রতিদিন একবার করে দেখার অনুমতি পেল মেয়েটি। প্রতিদিন দেখা করার আগে মেয়েটিকে ভাল করে পরীক্ষা করে নেওয়া হত যাতে মেয়েটি বাবার জন্য কোন প্রকার খাবার অথবা অন্য কোন জিনিস নিয়ে প্রবেশ করতে না পারে। কিন্তু প্রতিদিন বাবার এ অবস্থা দেখে মেয়েটি আর সহ্য করতে পারছিল না।

তাই সে নিজের বাবাকে বাঁচানোর জন্য নিরুপায় হয়ে নিজের বুকের দুধ খাওয়াতে লাগল। এদিকে সপ্তাহ পেরিয়ে মাস গড়িয়ে এল তবুও লোকটির মৃত্যু হচ্ছে না। এতে করে সকল প্রহরীদের মনে সন্দেহ হল লোকটি কি করে এখনো জীবিত। তাই পরদিন এক প্রহরী মেয়েটির পিছু নেয় এবং বাবাকে নিজের বুকের দুধ খাওয়ানো অবস্থায় মেয়েটিকে ধরে ফেলে। এ বিষয়ের উপর আবার মামলা মোকদ্দমা হয়।

এমন ঘটনার খবর ছড়িয়ে পরে ইউরোপের প্রতিটি রাজ্যে থেকে আনাচে-কানাচে। বৈঠক হয় মন্ত্রী থেকে সরকার পর্যায়ে। অবশেষে সরকার আইনের চক্ষু বন্ধ করে, বিবেকের চক্ষু খুলে এ বিষয়ের উপর বিচার করে রায় দেন।

এতে পিতা ও কন্যা দুজনকেই মুক্ত করে দেওয়া হয়। নারী যে যেই রূপেই হোকনা কেন সে ‘মা’ না হয় স্ত্রী, অথবা বোন। এরা প্রতিটি রূপেই ভালবাসার এক অনন্য প্রতীক।

শেয়ার করুন: