মানুষ মারা গেলে আর জীবন ফিরে পাবার কোনো সম্ভাবনা নেই। কিন্তু খুব সম্প্রতি দক্ষিণ আফ্রিকার একটি হাসপাতাল মর্গের ফ্রিজে এক ‘মৃত নারী’ জেগে ওঠার ঘটনা ঘটেছে। জানা গেছে, ওই নারীকে এখন চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে। তবে এখন পর্যন্ত ওই নারীর নাম জানা যায়নি।
জানা যায়, গত ২৪ জুন একটি সড়ক দুর্ঘটনার শিকার হন ওই নারী। এরপর তাকে হাসপাতালে নিয়ে প্যারামেডিকসরা মৃত ঘোষণা করেন। পরে ওই নারীকে আফ্রিকার গাওটেং প্রদেশের একটি মর্গে পাঠানো হয়।
ওই মর্গের একজন দায়িত্বরত কর্মী ফ্রিজে রাখা মরদেহের খোঁজ নিতে গিয়ে দেখেন, ওই নারী শ্বাস নিচ্ছেন। এ ঘটনার পর ফরেনসিক কর্মকর্তাদের নির্দেশে তাকে চিকিৎসার জন্য হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়।
তবে এ বিষয়ে অ্যাম্বুলেন্স কোম্পানি ডিস্ট্রেস অ্যালার্টের অপারেশন ম্যানেজার গেরিট ব্র্যান্ডনিক জানান, আমরা সবকিছু ঠিকঠাক মতোই আমাদের কাজ করেছি। কিন্তু, আমাদের কোনো ধারণা নেই কীভাবে এই ঘটনাটি ঘটল।
গেরিট ব্র্যান্ডনিক দুঃখপ্রকাশ করে বলেন, আমাদের কোম্পানির কর্মচারী এ ঘটনায় খুবই মর্মাহত। আমাদের কাজই হচ্ছে মানুষকে বাঁচিয়ে তোলা। আমরা কোনোভাবেই জীবিত মানুষকে মৃত করার জন্য এই ব্যবসায় নামিনি। এ ঘটনার জন্য আমরা দুঃখপ্রকাশ করছি।
আলোড়ন সৃষ্টি করা এ ঘটনা সম্পর্কে তিনি আরো বলেন, পালস, হার্টবিট সব পরীক্ষা করেই আমরা এই নারীকে মৃত ঘোষণা করেছিলাম বলেও জানান তিনি।
ইতোমধ্যে অ্যাম্বুলেন্স সেবাদানকারী এ সংস্থাটি ঘটনাটির জন্য একটি তদন্ত কমিটি গঠন করেছে। প্রসঙ্গত, দক্ষিণ আফ্রিকায় এ রকম ঘটনা এটাই প্রথম নয়। ৭ বছর আগে ৫০ বছর বয়সী এক ব্যক্তি ইস্টার্ন কেপ মর্গে চিৎকার করে ওঠেন।