ক্যাস্টর অয়েল হল এক ধরনের উদ্ভিজ্জ তেল, যা ক্যাস্টর অয়েল প্ল্যান্টের বীজ থেকে তৈরি করা হয়। এটি আমাদের ত্বক ও চুলের জন্য অত্যন্ত উপকারি। বিভিন্ন ধরনের প্রসাধনী দ্রব্য তৈরিতে ব্যবহৃত হয় এটি। তবে ক্যাস্টর অয়েল ত্বকের ক্ষেত্রে যেমন উপকারি, তেমন এর কিছু পার্শ্ব-প্রতিক্রিয়াও আছে। তাই খুব সাবধানে এটি ব্যবহার করা উচিত। তাহলে জেনে নিন, ত্বকের ক্ষেত্রে ক্যাস্টর অয়েলের উপকারিতা এবং পার্শ্ব-প্রতিক্রিয়া সর্ম্পকে।
১) প্রদাহ-বিরোধী ক্যাস্টর অয়েলে প্রদাহ-বিরোধী বৈশিষ্ট্য বর্তমান। এটি ত্বকের জ্বালাভাব দূর করার ক্ষেত্রে অত্যন্ত কার্যকর। গবেষণা অনুযায়ী, ক্যাস্টর অয়েলের ত্বকে প্রয়োগের ফলে আর্থ্রাইটিসের লক্ষণ কমতে পারে। এটি ফোলাভাব, ব্রণ ও আই ব্যাগ কমাতে পারে। এছাড়াও, ক্যাস্টর অয়েল সানবার্নের কারণে হওয়া জ্বালা-ব্যথা কমিয়ে দিতে পারে।
২) অ্যান্টি-মাইক্রোবিয়াল ক্যাস্টর অয়েলে অ্যান্টি-মাইক্রোবিয়াল বৈশিষ্ট্যও বর্তমান। যার ফলে ক্যাস্টর অয়েলের ব্যবহার, ব্যকটেরিয়াল ইনফেকশনের থেকে ত্বককে রক্ষা করতে পারে। জীবাণুকে দূরে রাখে।
৩) ত্বককে ময়েশ্চারাইজ করতে সহায়তা করে ক্যাস্টর অয়েলে রয়েছে ট্রাইগ্লিসারাইড। এটি ত্বকের আর্দ্রতা বজায় রাখতে সহায়তা করে। শুষ্ক ত্বকের চিকিৎসার ক্ষেত্রে ক্যাস্টর অয়েল দুর্দান্ত কার্যকর।
৪) ত্বককে হাইড্রেট করতে সহায়তা করে ক্যাস্টর অয়েলে humectant বৈশিষ্ট্য বর্তমান, যে কারণে ক্যাস্টর অয়েল বাতাস থেকে ত্বকে আর্দ্রতা শোষণ করতে পারে এবং ত্বককে হাইড্রেট রাখতে সহায়তা করে।
৫) ত্বককে পরিষ্কার রাখতে সহায়তা করে ক্যাস্টর অয়েল ট্রাইগ্লিসারাইডস এর উৎস। এটি ত্বকের ময়লা দূর করতে এবং ত্বককে পরিষ্কার রাখতে সহায়তা করে।
৬) রিঙ্কেলস প্রতিরোধ করে ক্যাস্টর অয়েলে অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট রয়েছে, যা ফ্রি ব়্যাডিকেলের বিরুদ্ধে লড়াই করে। এই ফ্রি ব়্যাডিকেলই, ত্বকের বার্ধক্যজনিত লক্ষণগুলির জন্য দায়ী। ক্যাস্টর অয়েলের ব্যবহার রিঙ্কেলস এবং ফাইন লাইনস প্রকট হতে বাধা দেয়।
৭) ব্রণের বিরুদ্ধে লড়াই করে ক্যাস্টর অয়েলে অ্যান্টি-ব্যাকটেরিয়াল বৈশিষ্ট্য বর্তমান। তাই ক্যাস্টর অয়েল ত্বকের ছিদ্রগুলিতে আটকে থাকা ব্যাকটেরিয়া ধ্বংস করতে সহায়তা করে। যার ফলে ব্রণের সমস্যা দূরে থাকে।
৮) শুষ্ক ঠোঁটের বিরুদ্ধে লড়াই করে লিপস্টিক এবং লিপ গ্লস উভয়ের ক্ষেত্রেই, ক্যাস্টর অয়েল একটি সাধারণ উপাদান। এটি শুষ্ক ঠোঁটের বিরুদ্ধে লড়াইয়ের ক্ষেত্রে অত্যন্ত কার্যকর। চাইলে ক্যাস্টর অয়েল, নারকেল তেলের সঙ্গে মিশিয়েও ব্যবহার করা যেতে পারে।
৯) ত্বককে সুস্থ রাখে ক্যাস্টর অয়েল হেলদি ফ্যাটি অ্যাসিডের দুর্দান্ত উৎস। আর ত্বককে সুস্থ রাখতে ফ্যাটি অ্যাসিড খুবই প্রয়োজনীয়। এর ময়েশ্চরাইজিং গুণ চামড়া ওঠা কমাতে পারে।