ইন্টারনেটের যুগে প্রশ্নফাঁস সব জায়গাতেই হয় : শিক্ষামন্ত্রী

জাতীয় সংসদ অধিবেশনে প্রশ্নফাঁসের অভিযোগের জবাব দিতে গিয়ে শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদ বলেছেন, এবার এসএসসির প্রশ্নফাঁস নিয়ে অনেক কথা হয়েছে। এমনকি গণমাধ্যমেও ব্যাপক প্রচার করা হয়েছে। এসব অভিযোগ আমলে নিয়ে আমরা সংশ্লিষ্ট পাঁচটি মন্ত্রণালয় ও সব ধরনের নিরাপত্তা সংস্থার মাধ্যমে কমিটি করেছিলাম।

তিনি বলেন, তদন্ত কমিটির প্রতিবেদনে বেরিয়ে এসেছে— মাত্র কয়েকটি প্রশ্ন আংশিক, তাও পরীক্ষা শুরুর ৩০ মিনিট পর ফাঁস হয়েছে। সেটি ছিল ‘ক’ সেটের ৩০ নম্বরের এমসিকিউ প্রশ্ন। আমরা গোপন রাখিনি, তদন্ত করে প্রকাশ করেছি।

বৃহস্পতিবার জাতীয় সংসদ অধিবেশনে শিক্ষামন্ত্রী এসব কথা বলেন। বিভিন্ন দেশের প্রশ্নফাঁসের নমুনা তুলে ধরে মন্ত্রী বলেন, ভারতের দিল্লিতে কেন্দ্রীয়ভাবে এবং রাজ্যভিত্তিক কিছু পরীক্ষা হয়। এবার রাজ্যের কিছু পরীক্ষার প্রশ্নফাঁস হয়েছে। সিঙ্গাপুরেও প্রশ্নফাঁস হয়েছে। ইংল্যান্ডেও প্রশ্নফাঁস হয়েছে। ইন্টারনেটের যুগে এগুলো সব জায়গাতেই হয়।

অধিবেশনে ২০১৮-১৯ অর্থবছরে মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগে বরাদ্দের বিরোধিতা করে বিরোধী দল জাতীয় পার্টির (জাপা) ৯ সদস্য (এমপি) ছাঁটাই প্রস্তাব দেন।

এরা হলেন- ফখরুল ইমাম, নূরুল ইসলাম ওমর, সেলিম উদ্দিন, মোহাম্মদ আব্দুল মুনিম চৌধুরী, রুস্তম আলী ফরাজী, রওশন আরা মান্নান, নুরুল ইসলাম মিলন ও পীর ফজলুর রহমান। বাজেটে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ে ২০১৯ সালের ৩০ জুলাই পর্যন্ত ১৮ হাজার ১৬৬ কোটি ৩১ লাখ টাকা বরাদ্দ রাখা হয়।

‘জিপিএ-৫ বিক্রি’সংক্রান্ত অভিযোগের জবাবে শিক্ষামন্ত্রী বলেন, ‘জিপিএ-৫ টাকায় বিক্রি হয়। এ ধরনের একটা খবর একটা টিভিতে প্রচার করা হয়েছে। তবে এটা প্রমাণিত হয়নি যে একজন জিপিএ-২ পেয়েছিল, তাকে টাকার বিনিময়ে জিপিএ-৫ দেয়া হয়েছে।

তিনি বলেন, এ রকম কোনো প্রমাণ নেই। তার পরও আমরা বোর্ড থেকে বুয়েটের একটি তদন্ত কমিটি করে দিয়েছি। এ ছাড়া মন্ত্রণালয় থেকে আরেকটি কমিটি করেছি। যখনই এসব অভিযোগ আসে আমরা গোপন রাখি না। প্রকাশ করি।

এমপিওভুক্তির বিষয়ে মন্ত্রী বলেন, এমপিওভুক্তির বিষয়ে অর্থমন্ত্রী তার বাজেট সমাপনী বক্তৃতায় বলেছেন— ১ জুলাই থেকে বাজেট কার্যকর করা হবে। অর্থ পেলে আমরা পর্যালোচনা করে এমপিওভুক্তির কাজ অব্যাহত রাখতে চেষ্টা করব।

শেয়ার করুন: