আল্লাহর মহান এবং বন্দার প্রতি অনুগ্রহশীল। মানুষ একটু চেষ্টা করলেই অনেক নেকি হাসিল করতে পারে। পেতে পারে আল্লাহর পক্ষ থেকে অনেক অনেক নেকি।১০ লাখ নেকি অর্জন ও ১০ লাখ গুনাহ মাফের দোয়া ;একবার হলেও পড়ুন, জিবনে কাজে আসবে !!
আমরা সবাই দিনের অনেক সময় বাজারে, শপিং মলে কাটিয়ে দিই। একটি দোয়া আছে যে দোয়াটি বাজারে গিয়ে পড়লে ১০ লক্ষ নেকি পাওয়া যায়। নিন্মে দোয়াটি উল্লেখ করা হলো।
উচ্চারণ: লা- ইলাহা ইল্লাল্লাহু ওয়াহদাহু লা- শারি-কা লাহু, লাহুল মুলকু ওয়া লাহুল হামদু ইউহইয়ু ওয়া ইউমিতু ওয়া হুয়া হাইয়ু লা- ইউমিতু বিয়াদিহিল খাইরু কুল্লুহু ওয়া হুয়া আ’লা কুল্লি শাইয়িন ক্বাদির।
হজরত সালিম ইবনু আবদুল্লাহ ইবনে ওমর রাদিয়াল্লাহু আনহু হতে তাঁর পিতা ও দাদার সূত্রে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন, যে ব্যক্তি বাজারে প্রবেশের সময় এ দোআ পড়বে, আল্লাহ তাআলা ঐ ব্যক্তির আমল নামায় ১০ লাখ নেকি লিখে দেন এবং দশ লাখ গোনাহ মাফ করে দেন।
আর ঐ ব্যক্তির জন্য জান্নাতে একটি প্রাসাদ তৈরি করেন। মুসতাদরেকে হাকিমের বর্ণনায় দশ লাখ মর্যাদা বুলন্দ করা হবে বলে উল্লেখ করেছেন। (ইবনে মাজাহ, আলবানি, মুস্তাদরেকে হাকিম)
অনেকে মনে করেন একটা সময় যে বাজার ছিলো এখন আর তেমন বাজার নেই। এখন অত্যাধুনিক অনেক বাজার তৈরি হয়েছে। যেখানে কোন কোলাহলন নেই,১০ লাখ নেকি অর্জন ও ১০ লাখ গুনাহ মাফের দোয়া ;একবার হলেও পড়ুন, জিবনে কাজে আসবে !!
দুর্গন্ধ নেই এমনকি কোন কথা বলারও প্রয়োজন নেই তো এই ধরণের বাজারে গিয়ে যদি এই দোআ পড়া যায় তাহলেকে ১০ লক্ষ নেকি পাওয়া যাবে কি না? আল্লাহ হচ্ছে মহান তিনি চান সবাইকে নেকি দিতে।
সুতরাং যে কেউ বাজারে গিয়ে এই দোআ পড়বে সে অবশ্যই ১০ লক্ষ নেকি পাবেন।ইসলামে ধর্মে শুকরের মাংস নিষিদ্ধ হওয়ার কারনে একটি দোয়ায় মিলবে দুঃখ ও ঋণ থেকে চির মুক্তি যে ৫ সময় দোয়া করলে মহান আল্লাহ অবশ্যই তা কবুল করেন!
বছর ঘুরে আবারো এলো পবিত্র রমজান মাস। এই এক মাস সিয়াম সাধনার পরে আসে আনন্দের ঈদ। রমজান মাসে মহান আল্লাহর সন্তুষ্টির জন্য সূর্যোদয় থেকে সূর্যাস্ত পর্যন্ত পানাহার থেকে বিরত থাকতে হয়।
সারাদিন যেহেতু না খেয়ে থাকতে হয় তাই কিছু বিষয়ে সচেতন থাকা জরুরি। কারণ শরীর সুস্থ থাকলেই আপনি রোজার জন্য তৈরি হতে পারবেন। চলুন জেনে নেই তেমনই কিছু জরুরি টিপস-১০ লাখ নেকি অর্জন ও ১০ লাখ গুনাহ মাফের দোয়া ;একবার হলেও পড়ুন, জিবনে কাজে আসবে !!
রোজার সময় যারা রক্তের শর্করার মাত্রা কমে যাওয়ার জন্য মাথা ব্যথা করে বা মাথা ঘোরায় তারা ইফতারের শুরুতেই ২-৩টি খেজুর খেয়ে নিতে পারেন, ফলে তারা কিছুটা সুস্থ বোধ করবেন। ইফতার ধীরে ধীরে সময় নিয়ে চিবিয়ে খেতে হবে। যার ফলে মিষ্টি জাতীয় খাবার ও অন্য খাবার বেশি খাওয়া হবে না।
রোজায় সারাদিন সুস্থ ও কর্মক্ষম থাকার জন্য সেহেরিতে এমন শর্করা সমৃদ্ধ খাবার খেতে হবে যেগুলো ধীর গতিতে হজম হয়। যেমন ভাত, রুটি বা চাইলে বিভিন্ন সিরিয়ালও খেতে পারেন। যার ফলে রক্তের শর্করা নিয়ন্ত্রণে থাকে।
রোজায় খাবার ও দৈনন্দিন জীবনের কর্মকাণ্ডে পরিবর্তন আসে। যার ফলে কোষ্ঠকাঠিন্য দেখা দিতে পারে। তাই প্রতিদিনের খাবারে ফল, সবজি, ডাল ও পানি রাখতে হবে এবং চেষ্টা করতে হবে কর্মচঞ্চল থাকার। বিভিন্ন ধরনের রকমারি ইফতার রোজায় প্রত্যেকেরই খেতে ইচ্ছে করে। কিন্তু শরীরের সুস্থতা বজায় রাখতে চাইলে সেগুলো প্রতিদিন খাওয়া চলবেনা।
খুব যদি ইচ্ছে করলে সপ্তাহে একদিন, অন্যান্য সুষম খাবারের সাথে পছন্দনীয় খাবার খুব কম পরিমাণে খেতে পারেন।১০ লাখ নেকি অর্জন ও ১০ লাখ গুনাহ মাফের দোয়া ;একবার হলেও পড়ুন, জিবনে কাজে আসবে!
চেষ্টা করুন রোজায় প্রতিদিনের খাবারে অল্প পরিমাণ খেজুর, বাদাম ও শুকনো ফল রাখতে যা সারাদিনের প্রয়োজনীয় পুষ্টি প্রদানের পাশাপাশি শরীরকে সতেজ ও জীবনীশক্তি বজায় রাখতে সাহায্য করবে।
রোজায় স্বাস্থ্যসম্মত ইফতার সুস্থতার জন্য খুবই জরুরি। দুটি খেজুর, এক গ্লাস পানি, বাসায় তৈরি যেকোনো ফলের জুস, এক বাটি গরম স্যুপ, সালাদ এবং কিছু পরিমাণ শর্করা যেমন ভাত, পাস্তা বা আলুর তৈরি কিছু খাবার থাকলে ভালো, সেই সাথে মাংস, মুরগি বা মাসের তৈরি কিছু খাবার রাখতে পারেন। তবে সবচেয়ে জরুরি বিষয় হলো স্বাস্থ্যকর খাবার খেতে হবে।