চুলের যত্নে চুল (hair) পরিমান ছাড় নয়। সব থেকে বড় সমস্যা দেখলাম চুল (hair) নিয়ে আর ত্বক নিয়ে। তাই এ বিষয়ে দুটি অভিজ্ঞতা শেয়ার করছি। প্রশ্ন- চুলপড়া (hair fall) বন্ধ করতে এবং নতুন চুল গজাতে কি করবো?
সমাধান: থানকুনি পাতার রসের সাথে পরিমান মত পিয়াজের রস মিশিয়ে একদিন পর একদিন মাথায় দিবেন। পনের দিনেই দেখবেন জাদুকরি ফলাফল। চুল ঘন এবং মজবুত হবে নিজেই বুঝবেন ফলাফল। উকুন বা খুশকি দুর করতে এবং চুল (hair) মজবুত করতে: এ্যালোভেরার সাথে মেথি মিশিয়ে মাথায় দিবেন। তবে উকুন থাকলে এ্যালোভেরার সবুজ পাতার সাথে মিশানো তেতো জেলটা বেশি নিবেন। এতে নানান রকম উপকার পাবেন।
আর এ্যলোভেরার কথা বলতে গেলেতো দিন ফুরিয়ে যাবে। মানুষ যে কেন এসব ন্যাচারাল জিনিস বাদ দিয়ে কৃত্তিম পন্য কিনে ঠকে তা বুঝিনা। আমিতো এ দুটি জিনিস টবেই চাষ করি। এক্সক্লুসিভ ডেস্ক: চুল (hair) নিয়ে সব চাইতে বড় সমস্যা হচ্ছে অতিরিক্ত চুল (hair) পড়ার সমস্যা। বিশেষ করে এই বর্ষাকালে চুল (hair) পড়ার সমস্যা অনেক বেড়ে যায়।
স্যাঁতস্যাঁতে আবহাওয়ার সহসা চুল শুকাতে না চাওয়ার কারণে চুলের গোঁড়া নরম হয়ে এই সমস্যা মারাত্মক আকার ধারণ করে। এই সমস্যা থেকে মুক্তি পেতে ঘরোয়া ছোট্ট দু’টি সমাধান জেনে নিন।
১. নারকেলের দুধ: নারকেলের দুধ চুলের ভেতর থেকে চুলকে মজবুত করতে সহায়তা করে। চুলের সঠিক ন্যারিশমেন্টের জন্য নারকেল দুধের বিকল্প নেই। এছাড়াও নারকেলের দুধ ডিপ কন্ডিশনার হিসেবে কাজ করে।
– প্রথমে নারকেল কুরিয়ে নিন। এরপর এই কোরানো নারকেল ব্লেন্ডারে বা গ্রাইন্ডারে অথবা পাটায় বেটে নিন ভালো করে। – এরপর পিষে বা বেটে নেয়া নারকেল একটি পরিষ্কার পাতলা কাপড়ে রেখে চিপে ভালো করে নারকেলের দুধ বের করে নিন। (নারকেলের দুধ বের করার পর নারকেল ফেলে না দিয়ে চিনি বা গুঁড় মিশিয়ে মিষ্টি খাবারে ব্যবহার করতে পারেন)
– প্রয়োজনে প্রতিদিন এই নারকেলের দুধ চুলের (hair) গোঁড়ায় ভালো করে ম্যাসেজ করে নেবেন। অতিরিক্ত চুল প(hair) ড়তে থাকলে প্রতিদিন ব্যবহার করুন, যদি অতিরিক্ত না হয় তাহলে সপ্তাহে ২-৩ বার ব্যবহার করলেই ভালো ফল পাবেন।
২. মেহেদী, ডিমের সাদা অংশ ও টকদই: মেহেদীর নির্যাস চুলের (hair) জন্য অত্যন্ত স্বাস্থ্যকর, ডিম মাথার ত্বকে সঠিক পুষ্টি যোগাতে সহায়তা করে এবং চুলের ফলিকল মজবুত করে। টকদই চুল ও মাথার ত্বক ময়েসচারাইজ করে চুল পড়া Hair fall বন্ধে সহায়তা করে।
– মেহেদী পাতা বাটা বা গুঁড়ো চুলের (hair) ঘনত্ব ও লম্বা অনুযায়ী নিন, এতে মেশাম ১ টি ডিমের সাদা অংশ এবং ২-৩ টেবিল চামচ টকদই। – যদি চুল (hair) অনেক শুষ্ক হয় তাহলে ভিটামিন ই ক্যাপস্যুল দিয়ে ভালো করে হেয়ার প্যাক তৈরি করে নিন। – এই প্যাকটি চুলের(hair) গোঁড়া থেকে আগা পর্যন্ত ভালো করে লাগিয়ে নিন এবং প্রায় ২ ঘণ্টা এভাবেই রেখে দিন।
–এরপর সাধারণ ভাবে চুল (hair) ভালো করে ধুয়ে পরিষ্কার করে নিন। যদি প্রথম দিন চুল (hair) পানি দিয়ে ধুয়ে পরিষ্কার করে ১ দিন এভাবেই রেখে তার পরের দিন শ্যাম্পু করতে পারেন তাহলে সব চাইতে ভালো ফলাফল পাবেন। – এই পদ্ধতিটি সপ্তাহে মাত্র ১ বার ব্যবহার করলেই চুল (hair) পড়া অনেকাংশে কমে যাবে। যাহোক নারীর মোহনীয়তা, সৌন্দর্য্য এবং আকর্ষনীয়তাতো (আমার কাছে অন্তত) তার ঘন কালো লম্বা চুলে। আহ্ হারিয়ে যায় মন।