রাশিয়া বিশ্বকাপে ভাইরাল হলো ইরানি তরুণীর আইডিকার্ড

বিশ্বকাপ মানেই বিভিন্ন জাতিগোষ্ঠীর মিলনমেলা। সিংহভাগ মানুষই আসেন বিশ্বকাপের খেলা দেখতে; এর মধ্যেই আবার অনেকে আছেন যারা নিজেদের দেশ নিয়ে সামাজিক-রাজনৈতিক বক্তব্য সবার সামনে তুলে ধরতে চান।

বুধবারের কাজান এরিনা ছিল কানায় কানায় ভর্তি। তিল ধারণের জায়গাও ছিল না। সবুজের সাথেই ইরানিদের শ্বেত আভায় মায়াবী দেখাচ্ছিল কাজান শহরকেও। আর তার মাঝে মাঝেই গাঢ় লালে নিজেদের অস্তিত্ব জানান দিচ্ছিল স্প্যানিশ আর্মাডারাও।

সেদিন ইনেয়েস্তা-ইস্কোদের শৈল্পিক নিদর্শনকেও হার মানাচ্ছিল এরিনা ওয়েভ। স্রোতের মতো একবার লাল সমুদ্রে ধাক্কা, আর তার পরের মুহূর্তেই সাদায় সমাদৃত হওয়ার দৃষ্টিসুখ।

এরই মধ্যে লেন্সবন্দি হল সোনালি চুলের এক ইরানি তরুণী। নামি ব্র্যান্ডের বিজ্ঞাপনে থাকা মডেলদের মতো ছিপছিপে চেহারা। চোখে নীল মাদকতা। ছোট পোশাকের আড়ালে উঁকি দিচ্ছে পেট-কোমর। ঠিক যেমন দেখা যায় বাঙালির বসন্ত পঞ্চমিতে।

এটুকু পড়ে নিশ্চয়ই বিস্ময় জাগার কথা। কারণ ইরানি তরুণীর এমন পোশাক তো কল্পনারও বাইরে! পোশাক ফতোয়াকো ছুড়ে ফেলে এই তরুণী তার পুরুষ সঙ্গীকে নিয়ে সেদিন হাজির হয়েছিলেন সবুজ-সাদা-লালে।

গায়ে দেশের জার্সি, সেটাও কোমরের উপরে বাধা। সঙ্গে স্কার্ট। কোমরে ঝুলছে আইডি কার্ড। এই ছবিই সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল। কিন্তু এ তো গেল পোশাকের কথা; আইডিকার্ড ভাইরাল হওয়ার কারণ কী?

আসলে সেই ইরানি ফুটবলপ্রেমীর এভাবে খবরে চলে আসার কারণ কোমরে থাকা ঝুলন্ত আইডি কার্ড। যেখানে তাকে দেখা যায় বোরখায় আবৃত। পাসপোর্ট সাইজের ছবি জুম হতেই চক্ষু চড়ক গাছ অনেকের।

ইরানে যেখানে বোরখায় আবদ্ধ রয়েছেন, সেই তিনিই দ্যুতিতে মায়া তৈরি করেছেন রাশিয়ায়। সৌজন্যে অবশ্যই ফুটবল বিশ্বকাপ। বেশিরভাগ মানুষ বলছেন, পর্দাপ্রথাকে এক তুড়িতে উড়িয়ে যেভাবে ইরানের রক্ষণশীল সমাজকে বুড়ো আঙুল দেখিয়েছেন ওই ইরানি, তাতে ইসলামিক দেশে নারী স্বাধীনতার জয় হয়েছে।

শেয়ার করুন: