নেইমার

যে কারণে নিষিদ্ধ নেইমার!

রাশিয়া বিশ্বকাপে ডোপটেস্টের মুখোমুখি হতে হয়েছে নেইমারকে। আর সে কারণে নেইমারকে নিয়ে ব্রাজিল শিবিরেও আছে চাপা দুশ্চিন্তা।
সেন্ট পিটার্সবার্গ স্টেডিয়ামে কোস্টারিকার বিপক্ষে ব্রাজিলের ম্যাচের পর নেইমারকে ডাকা হয়েছিল ডোপিং কন্ট্রোল রুমে। স্টেডিয়ামের প্রেসবক্সে বসেই দেখা গেল একজন এসে খবর জানিয়ে গেলেন। আর তাকে অনুসরণ করলেন নেইমার।

ডোপিং কন্ট্রোল রুমে নেইমারের প্রশ্রাবের নমুনা নেয়া হয়েছে। অ্যান্টি ডোপিং সেকশন হতে সঙ্গে সঙ্গে রিপোর্ট দেয়া হয় না। ফিফায় পাঠানো হয়। ফলাফল পরে জানানো হয়। এক্ষেত্রে খুবই গোপনীয়তা রক্ষা করা হয়।

কোস্টারিকার বিপক্ষে ব্রাজিল জিতেছিল ২-০ গোলে। খেলা শেষ হওয়ার পরও যখন ব্রাজিলের খেলোয়াড়রা বের হচ্ছিলেন না তখন ব্রাজিলের ফুটবল সংশ্লিষ্ট লোকজন মিক্সড জোনে ছিলেন। জানতে চাইলে কোনো কিছু প্রকাশ করেনি।

অধিনায়ক থিয়েগো সিলভার আগে কোটিনহো, মার্সেলোরা এসে চলে গেলেন। থিয়েগো সিলভা আসলেন কথাও বললেন। দেখা মিলছিল না নেইমারের। ব্রাজিলের ফুটবল দলের সঙ্গেই ছিলেন একাধিক কর্মকর্তা যারা মিক্সড জোনে ঘোরা ফেরা করেন, কড়া নজর রাখেন।

নেইমারের বের হতে দেরি হওয়ার কারণ জানতে চাইলে তাদের মধ্যে একজন বললেন, ‘ডোপিং রুমে গেছেন। কেন গেছেন জানতে চাইলে বললেন, ফিফা নিয়ে গেছে। এটা নিয়ম।’

কিন্তু নেইমারকে কেন? কোনো অভিযোগ আছে? ব্রাজিলের সেই প্রতিনিধি জানালেন এটা নিয়ম। তুমি ফিফাকে জিজ্ঞেস করো। এই লোকটি শুধু বললেন খেলা শেষ হওয়ার পর মাঠ হতে সরাসরি ডোপিং রুমে নিয়ে যাওয়া হয়েছে।

ডোপটেস্টে পজেটিভ হলেই নিষিদ্ধ হতে পারেন নেইমার। যা ব্রাজিলের জন্য মোটেও সুখকর সংবাদ নয়। ১৯৯৪ সালে একই অভিযোগে বিশ্বকাপ থেকে ছিটকে যায় আর্জেন্টাইন কিংবদন্তি ডিয়াগো ম্যারাডোনা।

উল্লেখ্য, প্রযুক্তির উন্নতির কারণে অনেক ক্রীড়াবিদই এমন সব নিষিদ্ধ পদার্থ ব্যবহার করেন, যার ফলে ক্রীড়া নৈপুন্যে সাময়িক ভাবে অতিরিক্ত শক্তির যোগান পায়। যেখানে দেহের স্বাভাবিক শক্তির চেয়ে অতিরিক্ত শক্তি সঞ্চারিত হয়, যার ফলে স্বাভাবিক ক্রীড়াবিদরা হেড়ে যায়।

এই নিষিদ্ধ কর্মকান্ড প্রতিহত করার জন্যে প্রতিটা আন্তর্জাতিক ক্রীড়াবিদকে চিকিৎসা বিজ্ঞানের বিভিন্ন পরীক্ষার সম্মুখীন হতে হয়, একেই ডোপিং টেষ্ট বলে।

শেয়ার করুন: