তেলাপোকা একটি সর্বভুক প্রাণী। এটি বিভিন্ন রোগের ধারক ও বাহক। এটি ক্ষতিকর ৩৩ ধরনের ব্যাকটেরিয়া, ছয় ধরনের প্যারাসাইট দিয়ে মানবদেহে বিভিন্ন রোগ তৈরি করে। তেলাপোকাকে কমবেশি সবাই ভয় পায়। গবেষণায় দেখা গেছে, ছেলেদের চেয়ে মেয়েদের তেলাপোকার ফোবিয়া বেশি।
তেলাপোকা যেভাবে জীবাণু ছড়ায়ঃ ১. তেলাপোকা লালারসের মাধ্যমে আমাদের দেহে ব্যাকটেরিয়া ছড়ায়। ২. তেলাপোকা ডিমের মাধ্যমে জীবাণু ছড়ায়। ৩. তেলাপোকা বিষ্টা দিয়ে জীবাণু ছড়ায়। ৪. তেলাপোকার অঙ্গপ্রত্যঙ্গ দিয়ে ছড়ায়। ৫. কামড়ানোর মাধ্যমে আমাদের মাথার চুল, নখ, চোখের ভ্রূ, ত্বক কেটে জীবাণু প্রবেশ করায়।
তেলাপোকা যে ধরনের রোগ ছড়ায়ঃ ১. ফুড পয়জনিং ২. অ্যালার্জি ৩. হাঁপানি বা শ্বাসকষ্ট ৪. কৃমি রোগ ৫. চর্মরোগ ৬. আমাশয় ৭. টায়ফয়েড ৮. হেপাটাইটিস
কামড়ে শরীরে কী ঘটেঃ ১. কামড়ের স্থানে জ্বালাপোড়া করে। ২. ফুলে যাওয়া এবং ব্যথা হতে পারে। ৩. চুলকানি ও র্যাশ হতে পারে। ৪. তেলাপোকার লালারসের ক্ষতিকর অ্যান্টিজেন তাৎক্ষণিক আলার্জি ও শ্বাসকষ্ট ঘটাতে পারে।
কামড়ের চিকিৎসা যা করবেনঃ ১. কামড়ের স্থানটি পরিষ্কার পানি ও সাবান দিয়ে ধুয়ে ফেলুন। ২. অ্যান্টিসেপটিক ক্রিম ও হাইড্রোকর্টিসন ক্রিম ব্যাবহার করুন। ৩. কামড়ের স্থানে চুলকাবেন না। ৪. যদি ফুলে যায়, আক্রান্ত স্থানে বরফ লাগান। ৫. যদি মারাত্মক আলার্জি শুরুহয়,ডাক্তারের পরামর্শ নিন। ৬. কোনো জটিলতা এড়াতে ডাক্তারের পরামর্শ মতে অ্যান্টিবায়োটিক খান।
তেলাপোকার কামড় প্রতিরোধে যা করবেনঃ ১. সপ্তাহের একদিন বাসাবাড়ির লুকানো ও অন্ধকার জায়গাটি পরিষ্কার করুন, যাতে তেলাপোকা বাস করতে না পারে। ২. প্রতিদিন ঘুমানোর আগে রান্নাঘরসহ খাবারের সব জায়গা ভালো করে পরিষ্কার করুন। ৩. নিয়মিত রান্নাঘরের ডাস্টবিন পরিষ্কার করুন এবং ডাস্টবিনে ঢাকনা ব্যবহার করুন। ৪. রাতের খাবার শেষে বাড়তি খাবার অবশ্যই খোলা না রেখে ঢাকনা দিয়ে রাখুন। ৫. প্রয়োজনে তেলাপোকার বিষ ব্যবহার করুন এবং সুস্থ থাকুন।