পাত্রী চেয়ে এ কেমন- এতদিন যা বলতে ঢোক গিলত নতুন বর, চল্লিশ পেরনো ‘যুবক’ তাই অনায়াসে লিখে দিল দৈনিকে। ‘সেক্স দুর্বল। ’ বিয়ের বিজ্ঞাপনে পাত্রী চাই কলামে তাঁর খোলামেলা স্বীকারোক্তি, বিয়ের পর যৌন সুখ দিতে পারব না।
কিন্ত বাবা হতে চান তিনি। তাই টেস্ট টিউব বেবি নিতে আগ্রহী এমন পাত্রীকেই জীবনসঙ্গী করতে চান। ডিভোর্সি হলেও আপত্তি নেই।
এ লেখা দেখেই বিষম খেয়েছে রক্ষণশীলরা। তবে এ কথাও মেনে নিয়েছেন যে, ক্রমশ সাহসী হচ্ছে সমাজ। চার দেওয়ালের অন্দরে চেপে
রাখা কথাও এবার ফলাও করে বিজ্ঞাপনে লিখে দিতে পিছপা হচ্ছে না মধ্যবিত্ত গেরস্থ। বিজ্ঞাপন থেকেই জানা যাচ্ছে, যৌন ক্ষমতায় অক্ষম বলেই তাঁর প্রথম স্ত্রী তাঁকে ছেড়ে চলে গিয়েছেন।
কিন্ত সংসার করার অদম্য ইচ্ছে আজও কাজ করে শ্যামল খাসনবিসের (নাম পরিবর্তিত) মধ্যে। চান বাবা হতে। রাখঢাক না করেই তাই খবরের কাগজে বিজ্ঞাপন দিয়েছেন। তবে এবার নিজের অক্ষমতা জানিয়েই।
সোজাসাপটা বলে দিয়েছেন, ‘সেক্স দুর্বল। ধুমপান করেন, এমনকী হতাশা কাটাতে অ্যান্টি ডিপ্রেসনের ওষুধও খান। অনূর্ধ্ব ৩৪, টেস্ট টিউব বেবি নিতে আগ্রহী পাত্রী চান তিনি। ডিভোর্সি হলেও চলবে। ’ মনোবিদ দোলা মজুমদার মনে করছেন, যৌন দুর্বলতা থেকেই এই ব্যক্তির মনে জাল ছড়িয়েছে হতাশা।
তাঁর কথায়, “যৌন দুর্বলতার পিছনে মনস্তত্ত্ব অনেকটাই দায়ী। অনেক সময় ছোটবেলার কোনও বিশেষ ঘটনা এমন আঘাত দেয় যা সারাটা জীবন পিছু করে। দেখা যায় মনের সে অন্ধকার কেটে গেলেই জীবন পুরনো ট্র্যাকে ফিরে এসেছে। ”