সকল পুরুষকে ন্যূনতম দু’টি বিবাহ করতেই হবে, দুই বউ না থাকলেই জেল!

‘সকল পুরুষকে ন্যূনতম দু’টি বিবাহ করতেই হবে। যদি দেশের কোনও পুরুষ বা নারী এই সিদ্ধান্তে আপত্তি জানান, তা হলে শাস্তি হবে যাবজ্জীবন জেল।’ এটি এরিত্রিয়ার সরকারি আইনে স্পষ্টভাবে বলা হয়েছে।

কথায় বলে একে চন্দ্র, দুয়ে পক্ষ। আর তা যেন কাজে প্রমাণ করিয়ে দিয়েছে এরিত্রিয়া সরকার। সম্প্রতি এ বিষয়টি নিয়ে বেশ আলোচনার ঝড় উঠেছে।

আরবীয় দেশগুলির মধ্যে এরিত্রিয়াতেই শুধুমাত্র এমন অদ্ভুত আইন জারি করা হয়েছে। রীতিমতো ধর্মীয় আইনের মাধ্যমে এই নির্দেশকে মান্যতা দিয়েছেন গ্র্যান্ড মুফতি।

আইনে স্পষ্ট করে বলা হয়েছে, এরিত্রিয়ার সমস্ত পুরুষকে ন্যূনতম দু’টি বিবাহ করতেই হবে। যদি দেশের কোনও পুরুষ বা নারী এই সিদ্ধান্তে আপত্তি জানান, তা হলে শাস্তি হবে যাবজ্জীবন জেল।

সরকারি সূত্রে জানানো হয়েছে, দেশে পুরুষের সংখ্যা কমে যাচ্ছে প্রতিনিয়ত। এর আগে দীর্ঘদিন ইথিওপিয়ার সঙ্গে যুদ্ধের কারণে অনেক পুরুষ হারিয়েছে এরিত্রিয়া।

ক্রমশ পুরুষশূন্য হয়ে পড়ছে এই দেশ। তাই দেশের স্বার্থেই এই আইন বলবৎ করেছে দেশটির সরকার।

জেনে নিন, দিনে কতবার প্রস্রাব করা স্বাভাবিক?

যে ব্যক্তি সারাদিন এসি ঘরে বসে কাজ করেন, তাঁর প্রস্রাবের পরিমাণ বেশি। কিন্তু যাঁকে রাস্তায় বেরিয়ে কাজ করতে হয়, সেই ব্যক্তির ঘাম অনেকবেশি। প্রস্রাব কম।
প্রয়োজনের চেয়ে বেশি প্রস্রাবের সমস্যায় ভোগেন অনেকেই। কোথাও বেড়াতে গেলে দুশ্চিন্তা পিছু ছাড়তে চায় না। পুরুষদের যাও বা রেহাই আছে, মহিলাদের তা নেই।

এটা এমন নয় যে অধিকমাত্রায় পানি খেলেই প্রস্রাব হয় বেশি। অনেকেই আছেন, দিনে অনেকবার প্রস্রাব করেন, কিন্তু বেশি পরিমাণে পানি খান না। অন্যদিকে অনেক পানি খেয়েও স্বাভাবিক মাত্রায় প্রস্রাব হয় না অনেকের।

কলোম্বিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের বিশেষজ্ঞদের মতে, দিনে ৬-৭বার প্রস্রাব স্বাভাবিক। দু'বার বেশি বা কমও হতে পারে। প্রস্রাব কম বা বেশি হওয়ার জন্য দায়ি আরও কয়েকটি বিষয়। যেমন-

তরল পান

তরল খাওয়ার পরিমাণের উপর নির্ভর করে প্রস্রাব। যে ব্যক্তি প্রতিদিন ৫ লিটার জল খান, হিসেব করে তাঁর ১০বার প্রস্রাব হওয়ার কথা।

যিনি এর চেয়ে কম জল খান, তাঁর আরও কম প্রস্রাব হওয়ার কথা। তবে ক্যাফেইনযুক্ত পানীয় খেলে স্বাভাবিকভাবেই প্রস্রাব হয় বেশি। কেননা, এই ধরনের পানীয় মূত্রথলিকে উত্তেজিত করে।

খাদ্যাভাস

যে ব্যক্তির খাদ্য তালিকায় তরল বেশি, যেমন সুপ, ফ্রুট জুস, ইত্যাদি, তাঁর প্রস্রাবের পরিমাণ বেশি হওয়ার কথা। কিন্তু যিনি শুকনো খাবারই বেশি খান, তার ব্যাপারটা ঠিক উলটো। সুতরাং, খাবারে তরল কতখানি খাচ্ছেন তার উপরও নির্ভর করে প্রস্রাবের মাত্রা।

বয়স

আবার বয়স যত বাড়ে, মূত্রথলি সঙ্কুচিত হতে থাকে ততবেশি। তাই বৃদ্ধ/বৃদ্ধাদের কম প্রস্রাব হওয়াই স্বাভাবিক।

আবার কোনও কোনও ৪০ ঊর্ধ্ব পুরুষ রাতে বারংবার প্রস্রাবে যান। এই সমস্যা তৈরি হলে ইউরোলজিস্টের কাছে যেতে হবে। এর কারণ হতে পারে প্রস্টেটের আয়তনে বৃদ্ধি বা প্রস্টেট ক্যান্সার।

ত্বকের ধরন

নিজেই যাচাই করে দেখতে পারেন বিষয়টি। যদি শরীরে ঘামের পরিমাণ বেশি হয়, প্রস্রাব বেশি হবে না। তার কারণ, এক্ষেত্রে কিন্তু শরীরের জল রোমকূপ দিয়ে বেরিয়ে যায়।

ফলত, প্রস্রাবের বদলে জল বেরনোর বিকল্প প্রক্রিয়া কিন্তু ঘাম। ঠিক একইভাবে ঘাম কম হলে শরীরের জল প্রস্রাবের মাধ্যমে বেরিয়ে আসবে। স্বাভাবিকভাবেই পরিমাণ বাড়বে।

বাসস্থান

প্রস্রাব হওয়ার পিছনে অন্যতম প্রধান কারণ হতে পারে ভৌগোলিক অবস্থান। যেসব জায়গায় আর্দ্রতা বেশি, সেসব জায়গায় প্রস্রাব কম। কারণ, সেখানে শরীরের অর্ধেক জল ঘাম হয়ে বেরিয়ে যায়। অন্যদিকে শুষ্ক অঞ্চলে ঘাম কম, তাই প্রস্রাব বেশি।

জীবিকা

যে ব্যক্তি সারাদিন এসি ঘরে বসে কাজ করেন, তাঁর প্রস্রাবের পরিমাণ বেশি। কিন্তু যাঁকে রাস্তায় বেরিয়ে কাজ করতে হয়, সেই ব্যক্তির ঘাম অনেকবেশি। প্রস্রাব কম।

শেয়ার করুন: