মুরগির মাংস

অতিরিক্ত ব্রয়লার মুরগি খাওয়ার ক্ষতি কি!

আমাদের দৈনন্দিন জীবনে ব্রয়লার মুরগি খাওয়ার ঘটনাটি ঘটাতেই হয়। তবে প্রতিদিন প্রতিনিয়ত ব্রয়লার মুরগি খাওয়া আমাদের স্বাস্থ্যের জন্য একান্ত ক্ষতিকর। প্রতিদিন দুপুরে রাতে সন্ধ্যায় মুরগি খাওয়ার অভ্যাস শরীরের জন্য খুব একটা ভালো নয়। আসুন পাঠক জেনে নেই কীভাবে অতিরিক্ত ব্রয়লার মুরগি আমাদের শরীরের ক্ষতি করে।

১. কাঁচা মাংসে প্রচুর পরিমাণে ব্যাকটেরিয়া থাকে। আর দোকানে যেভাবে একাধিক মুরগিকে এক সঙ্গে রাখা হয় তাতে দু-পাঁচটার শরীরে সেই ক্ষতিকর ব্যাকটেরিয়াগুলি প্রবেশ করাটাও অস্বাভাবিক নয়। আর এমনটা যে হয় না, সে কথা কেউ নিশ্চিত করে বলতে পারে কি? শুধু তাই নয়, যখন মুরগী কাটা হয় তখনও জীবিত মুরগির শরীর থেকে কাঁচা মাংসে ব্যাকটেরিয়া চলে যাওয়ার আশঙ্কা থেকে যায়। আর এই জীবাণু যদি আমাদের শরীরে প্রবেশ করে তাহলে আর রক্ষা নেই।

২. পোলট্রিতে বড় করার সময় ব্রয়লার মুরগিদের অ্যান্টিবায়োটিক ইনজেকশন দেওয়া হয়। ফলে এমন ধরনের মুরগি বেশি খেলে আমাদের শরীরেও অ্যান্টিবায়োটিক রেজিজটেন্স তৈরি হয়ে যাওয়ার আশঙ্কা থাকে। অর্থাৎ পোলট্রির মুরগি খেলে একাধিক অ্যান্টিবায়োটিক আর কাজ করবে না আমাদের শরীরে। রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতাই ধীরে ধীরে নষ্ট হয়ে যাবে। ছোটখাটো পেটের রোগ, গ্যাস, অম্বল, সর্দিকাশি, ইনফেকশনের ক্ষেত্রেও অ্যান্টিবায়োটিক আর কাজ করবে না।

৩. কয়েকজন বিশেষজ্ঞের মতো মাত্রাতিরিক্ত ব্রয়লার মুরগি খেলে রক্তে বাজে কোলেস্টেরলের মাত্রা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে ক্যানসারে আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কাও বৃদ্ধি পায়। তবে এই যুক্তির স্বপক্ষে এখন পর্যন্ত কোনো প্রমাণ পাওয়া যায়নি।

৪. ব্রয়লার মুরগি যেভাবে বড় করা হয় বা তাদের মেটা করার জন্য যে পদ্ধিত অনুসরণ করা হয় তা মোটেই বিজ্ঞানসম্মত নয়। এ ক্ষেত্রে এমন কিছু কেমিক্যাল মুরগির শরীরে ঢোকানো হয়, যা আমাদের শরীরে প্রবেশ করলে নানা রকমের জটিল রোগ হওয়ার সম্ভাবনা বেড়ে যায়।

৫. ব্রয়লার চিকেন খেলে ফুড পয়জনিং হওয়ার আশঙ্কা বৃদ্ধি পায়। একাধিক গবেষণয়া দেখা গেছে প্রায় ৬৭ শতাংশ ব্রয়লার মুরগির শরীরে ই-কোলাই ব্যাকটেরিয়া থাকে, যা কোনোভাবেই কিন্তু আমাদের শরীরের পক্ষে ভালো নয়।

শেয়ার করুন: