ডাব

ডাবের পানির সাথে মধু খেলে যা হয়!

ডাবের পানির সাথে মধু- প্রতিদিন সকালে নাশতার আগে এক গ্লাস ডাবের পানিতে এক চামচ মধু মিশিয়ে যদি পান করা যায়, তাহলে ছোট-বড় কোনও রোগই ধারে কাছে ঘেঁষতে পারে না। সেই সঙ্গে শরীরের কর্মক্ষমতাও মারাত্মকভাবে বৃদ্ধি পায়। এছাড়া ডাবের পানি আর মধু একসঙ্গে মিশিয়ে খেলে যেসব উপকার হয়:

হার্টের কর্মক্ষমতা বাড়ে: ডাবের পানিতে এক চামচ মধু মিশিয়ে নিয়মিত খাওয়া শুরু করলে শরীরের পুষ্টির ঘাটতি দূর হয়। সেই সঙ্গে হার্টের পেশির কর্মক্ষমতা বাড়তে থাকে। ফলে কোনো ধরনের হার্টের রোগে আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কা যায় কমে। সেই সঙ্গে ব্লাড প্রেসারও নিয়ন্ত্রণে চলে আসে।

এনার্জির ঘাটতি দূর হয়: সকালে ঘুম থেকে উঠে থালি পেটে এই পানীয়টি খেলে শরীরে বিশেষ কিছু খনিজের মাত্রা বাড়তে শুরু করে। ফলে দেহের ক্ষমতা মারাত্মকভাবে বেড়ে যায়। সারা দিন ধরে ক্লান্তি ধারে কাছেও ঘেঁষতে পারে না।

রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতার উন্নতি ঘটে: এই পানীয়টিতে উপস্থিত ভিটামিন এবং মিনারেল কোষকে উজ্জীবিত করে। ফলে শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতার উন্নতি ঘটে। কোনো রোগই আপনাকে ছুঁতে পারবে না।

শরীর এবং ত্বকের বয়স কমায়: ডাবের পানি এবং মধু মিশিয়ে বানানো পানীয়টিতে প্রচুর মাত্রায় অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট এবং ভিটামিন- এ রয়েছে, যা শরীরকে নানা রকমের ক্ষতিকর উপাদানের প্রভাব থেকে বাঁচায়। ফলে শরীর ভেতর থেকে চাঙ্গা হয়ে ওঠে। তখন শরীরের উপর যেমন বয়সের ছাপ পরে না, তেমনি ত্বকের সৌন্দর্যও বৃদ্ধি পেতে শুরু করে চোখে পরার মতো।

হজম ক্ষমতার উন্নতি ঘটে: প্রতিদিন ডাবের পানির সঙ্গে মধু খেলে অ্যাসিড উৎপাদনের পরিমাণ কমতে শুরু করে। ফলে বদহজম, অ্যাসিডিটি এবং কনস্টিপেশনের মতো সমস্যা দূরে থাকে।

খারাপ কোলেস্টেরলের মাত্রা কমায়: এই পানীয়টি খেলে কোলেস্টেরল লেভেল একেবারে নরমাল হয়ে যায়। রক্তনালীতে জমতে থাকা কোলেস্টরল বা ময়লাও ধুয়ে যায়। ফলে হার্ট অ্যাটাক সহ একাধিক জটিল রোগ হওয়ার আশঙ্কা কমে।

সংক্রমণে আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কা কমে: শরীরে প্রদাহ কমানোর পাশাপাশি যে কোনো ধরনের সংক্রমণের প্রকোপ কমাতে ডাবের পানি এবং মধুর কোনো বিকল্প হয় না বললেই চলে। কারণ এই দুটিতেই রয়েছে অ্যান্টিসেপটিক প্রপাটিজ, যা সংক্রমণের বিরুদ্ধে প্রতিনিয়ত লড়াই চালিয়ে যায়।

কিডনির কর্মক্ষমতা বাড়ে: শরীর থেকে ময়লা এবং ক্ষতিকর টক্সিন বের করে দেয় কিডনি। এই পানীয়টি কিডনিকে পরিষ্কার রাখে। ফলে শরীর থেকে ক্ষতিকর টক্সিন তো বেরিয়েই যায়, সেই সঙ্গে কিডনিও চাঙ্গা হয়ে ওঠে। তথ্যসূত্র: ইন্টারনেট।

শেয়ার করুন: