বর্তমানে বিশ্বে নিজেকে আকর্ষণীয় করে তোলার জন্য বিভিন্ন মেকআপ ও প্রসাধনী ব্যবহার বহুল প্রচলিত, কিন্তু এ প্রসাধন ব্যবহারে আমাদের ত্বকে দেখা যায় নানা ধরনের পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া, যা শরীরে হয় বিভিন্ন রকমের অ্যালার্জি যেমন- স্পর্শজনিত প্রদাহ। ত্বকে আসে লাল ভাব, যাতে ফুসকুরি বেরোয়, চুলকানি হয় প্রসাধনসামগ্রীর মধ্যে।
টিপ: টিপ দীর্ঘ দিন ব্যবহার করার ফলে ওই জায়গায় কন্টাক্ট ডার্মাটাইটিস হতে পারে। সংলগ্ন ত্বক লাল হয় ফুসকুরি দেখা যায় এবং সাদা দাগও হয়। এ ক্ষেত্রে টিপপরা বন্ধ করে চিকিৎসকের পরামর্শ নেয়া উচিত।
লিপস্টিক: এ থেকে অনেকের ঠোঁটে অ্যালার্জি হয়, যাকে কন্টাক্ট ফিলাইটিস বলে, এতে ঠোঁট লাল হয়, চুলকায়, শুকনো কালো ও ফাটাফাটা হয় এবং অনেক সময় তার পাশে সাদা দাগ দেখা দিতে পারে। ইয়োসিন (Eosiw) যুক্ত গাঢ় লাল রঙের লিপস্টিক ব্যবহার না করাই ভালো।
জুয়েলারি: ইমিটেশন জুয়েলারি গয়নার মধ্যে নিকেল থাকে। এই নিকেলের জন্য অ্যালার্জি দেখা দিতে পারে। শরীরের যেসব জায়গায় ইমিটেশন গয়না ব্যবহার করা হয়, যেমন- কানের দুল, গলার হার, হাতের চুড়ি, আংটি ইত্যাদি,
সেসব জায়গায় কন্টাক্ট ডার্মাটাইটিস হতে পারে। তবে স্বর্ণের গয়না ব্যবহারে এ ধরনের অ্যালার্জি কম হয়। আবার অনেক সময় ঘড়ির ব্র্যান্ডের মেটালে এ ধরনের অ্যালার্জি হতে পারে। এসব ক্ষেত্রে ইমিটেশনের গয়না ব্যবহার বন্ধ করা দরকার।
জুতা বা স্যান্ডেল: রাবারের স্যান্ডেলে MBT Chemical থাকে এর অনেক সময় অ্যালার্জি হতে পারে। সে ক্ষেত্রে রাবারের স্যান্ডেল না পরা উচিত।
নেলপলিশ: নেলপলিশ অত্যধিক ব্যবহারে নখের সংলগ্ন ত্বকে অনেকের অ্যালার্জি দেখা যায়। নেলপলিশে থাকে অ্যাসিটোন। তাই অ্যাসিটোনযুক্ত রিমুভার ঘন ঘন ব্যবহার করলে নখ ভঙ্গুর হতে পারে।
চুলের পরিচর্যা: চুলের হেয়ার ডাই ব্যবহারে কনট্যাক্ট ডার্মাটাইটিস হয়, কারণ হেয়ার ডাইয়ে পিপিডি থাকে। এসব হেয়ার ডাই বন্ধ করা ছাড়া অন্য কোনো উপায় নেই। এ ছাড়া মেহেদি পাতার গুঁড়ো, ঘরে তৈরি ন্যাচারাল ডাই থেকে অ্যালার্জি হওয়ার আশঙ্কা অনেক কম।
পরিশেষে যাদের স্পর্শকাতর ত্বক তাদের একটু সাবধানতা অবলম্বন করে হালকা রঙের সিগ্ধ প্রসাধন ব্যবহার করতে হবে। আর নতুন প্রসাধনী ব্যবহারের আগে কানের পেছনে দু-তিন দিন তা লাগিয়ে পরীক্ষা করে নেবেন তাতে অ্যালার্জি আছে কি না।