ফলের গায়ে স্টিকারের বিষয়টি হয়তো অনেকেরই চোখে পড়েছে। ওই স্টিকার খুলে ফল খেতে অনেক সময়ই ঝামেলায় পড়তে হয়। তবে এমন স্টিকার লাগানোর অর্থ কী? প্রকৃতপক্ষে আপেলের ওপরের স্টিকার বিশেষ গুরুত্ব বহন করে।
আপেলসহ বিভিন্ন ফলের ওপর থাকা স্টিকারের ওপরের সংখ্যা ও বারকোড ফলের পরিচয়, ধরন ও উৎপাদন পদ্ধতিসহ নানা তথ্য বহন করে। স্টিকারে থাকা সংখ্যাকে বলা হয় প্রাইস লুক আপ কোড বা সংক্ষেপে পিএলইউ কোড।
কোনো আপেলের ওপর লাগানোর স্টিকার যদি ৪১৩১ সংখ্যাটি থাকে এর মানে হলো এটি ফুজি আপেল। একই ভাবে ৪১৩৩ দ্বারা বুঝায় আপেলটি গালা জাতের। আবার ৪০১৭ স্টিকার লাগানো আপেল হয় সবুজ রঙের।
একই সঙ্গে ওই চার সংখ্যার মাধ্যমে বুঝায় প্রচলিত পদ্ধতিতে এই আপেলের চাষ হয়েছে। তবে চার অঙ্কের সংখ্যার সামনে ৮ থাকলে এর উৎপাদন পদ্ধতি সম্পর্কে ভিন্ন কথা বলা হয়। যেমন ৮৪১৩১ মানে হলো আপেলটি ফুজি এবং জিনগত পরিবর্তন ঘটিয়ে এটি উৎপাদন করা হয়েছে।
একইভাগে ৮ এর স্থলে ৯ বসানো হলে অর্থ বদলে যায়। যেমন ৯৪১৩১ মানে হলো আপেলটি ফুজি এবং কোনো কিটনাশক ব্যবহার ছাড়াই এই আপেল উৎপাদন করা হয়েছে।
সাধারণত ক্রেতাদের সুবিধার্থে অনেক সময়ই স্টিকারের সংখ্যা ও বারকোড ছাড়াও সংক্ষেপে বা পূর্ণভাবে এর গুণগত মান লেখা হয়। যেমন স্টিকারের সংখ্যার ওপর লেখা থাকতে পারে অর্গানিক, জেনেটিক্যালি মোডিফায়েড বা সংক্ষেপে জিএম, ন্যাচারাল ইত্যাদি।
বাংলাদেশে অনেক ক্ষেত্রেই পিএলইউ কোড ছাড়াও ফলের গায়ে স্টিকার দেখা যায়। সাধারণত এসব স্টিকারে লেখা থাকে ‘গুড’ বা ‘ওকে’। ফল উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠান তাদের পণ্য প্যাকেটজাত করার সময় এর গুণগত মান বোঝাতে এমন স্টিকার ব্যবহার করে থাকতে পারে।