যে ৭টি তথ্য এয়ারলাইন্সগুলো যাত্রীকে জানায় না, জানালে যাত্রীরা ভয়ে মরে যাবে!

বিমান যোগাযোগ আধুনিক সভ্যতার অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। বিমান যোগাযোগে শুধু মানুষের সময়ই বাঁচায় না, এটি নিরাপদে ভ্রমণের অন্যতম উপায়ও বটে। তবুও বিমান পরিচালনাকারী প্রতিষ্ঠানগুলো কিছু গোপনীয়তা বজায় রাখে। এ লেখায় থাকছে তেমন সাতটি গোপন তথ্য।

চলন্ত বিমানে পাইলটরা ঘুমায়: বিমান আকাশে ওড়ানোর কিছুক্ষণ পর তা অটোপাইলটে (স্বয়ংক্রিয়ভাবে চলতে দিয়ে) সেট করার পর পাইলটদের আর তেমন কিছুই করার থাকে না। সে সময় অনেক পাইলটকেই ঘুমাতে দেখাতে যায়।

অক্সিজেন মাস্ক কি জীবন বাঁচাতে পারে?: বিমানে অক্সিজেনের অভাব হলে সে পরিস্থিতি সামলাতে অক্সিজেন মাস্ক সরবরাহের ব্যবস্থা রয়েছে। কিন্তু এ অক্সিজেন কতোক্ষণ আপনার জীবন রক্ষা করতে পারবে? অধিকাংশ এয়ারলাইন্সই আপনাকে যে কথা জানাবে না তা হলো, এ অক্সিজেন মাস্কগুলো মাত্র ১৫ মিনিট অক্সিজেন সরবরাহ করতে পারে।

যে কারণে বিমান ওঠানামার সময় আলো কমানো হয়: বিমান ভূমি থেকে আকাশে ওড়ার সময় কিংবা নেমে আসার সময় আলো কমিয়ে দেওয়া হয়। এর কারণ কোনো দুর্ঘটনা হলে বা হঠাৎ করে জরুরিভাবে বিমান থেকে নামতে হলে বাইরের সঙ্গে মানিয়ে নেওয়ার জন্য অভ্যস্ত করা। বাইরে যদি অল্প আলো থাকে তাহলে সে আলোতে বিমানযাত্রীদের যেন হঠাৎ নেমে অসুবিধা না হয় সেজন্যই এটি করা হয়।

টয়লেট কখনোই সম্পূর্ণ লক হয় না: বিমানের টয়লেটের দরজায় লেখা থাকে যে বিমানটি ট্যাক্সিওয়েতে কিংবা টেকঅফ ও ল্যান্ডিংয়ের সময় টয়লেট লক করা থাকবে। কিন্তু বাস্তবে এটি ভেতর ও বাইরে থেকে আনলক করা যায়। সাধারণত নো স্মোকিং লেখা সাইনবোর্ডটির পেছনেই এ গোপন ব্যবস্থা থাকে।

ব্যাড ল্যান্ডিং ইচ্ছে করেই করা হয়: বিমান ঝাঁকি দিয়ে নামার ঘটনা প্রায়ই ইচ্ছাকৃতভাবে করা হয়। মূলত দুর্ঘটনা এড়ানোর জন্য খারাপ আবহাওয়ায় কিংবা রানওয়েতে পানি থাকলে বিমানটি যেন পানিতে পিছলে না যায়, সেজন্য এ ঘটনা ঘটানো হয়।

পাইলটদের খাবার ভিন্ন: সাধারণ যাত্রীদের খাবারের তুলনায় পাইলটদের খাবার ভিন্ন হয়। তারা বিমান চালাতে গিয়ে যেন অসুস্থ হয়ে না পড়ে, সে জন্যই এ ব্যবস্থা নেওয়া হয়।

সিটের লুকানো স্থান: বিমানের সিটের স্থান যদি আপনার মনমতো না হয়, তাহলে তা আরও বাড়িয়ে নেওয়া সম্ভব। এজন্য সিটের নিচে একটি বাটন রয়েছে।

শেয়ার করুন: