গ্রীষ্মকাল আসলেই রাস্তায় হাঁটার সময় হাপিয়ে উঠতে হয়। এ সময় কিছুটা স্বস্তি পেতে রাস্তার ধারে, রেল লইনের পারে কাটা ফল, লেবুর সরবত, বরফের পানি বা আইসক্রিম গ্রহণ করা হয়। কিন্তু এসব যে আপনার স্বাস্থ্যের জন্য কতটা বিপদ ডেকে আনতে পারে জানালে আপনি আঁতকে উঠতে পারেন! চিকিৎসকেরা জানান, এসময় পানিবাহিত রোগীর সংখ্যা বেড়ে যায়। ওই সব পানিয় গ্রহনের কারণে জন্ডিসের মত রোগেও আক্রান্ত হতে হয়। আক্রান্ততের মধ্যে আট থেকে আশি সব বয়সের মানুষের সংখ্যাই বেশি।
জন্ডিসের উপসর্গ সমুহ: হেপাটাইটিস এ এবং ই-তে আক্রান্ত হলে পেটের ডান দিকে ব্যথা হয়। খিদে পায় না, বমি-বমি ভাব হয়।
প্রতিকার: চিকিৎসকদের পরামর্শ, খাবারের প্রতি বিশেষ যত্নবান হওয়া দরকার। কম মশলার খাবার খাওয়া উচিত, যা সহজেই হজম হয়ে যাবে। রঙিন সরবত, কাটা ফল না খেতেই বলছেন চিকিৎসকেরা।
শিশু-রোগ বিশেষজ্ঞেরা জানিয়েছেন, একেবারে ছোটদের জন্ডিসের প্রকোপ তেমন নেই। কারণ, তাদের বেশির ভাগেরই হেপাটাইটিস এ এবং ই প্রতিষেধক টিকাকরণ হয়েছে। সমস্যা বেশি কিশোর-কিশোরীদের মধ্যে।
কারণ, বছর দশেক আগেও হেপাটাইটিস এ এবং ই-এর টিকাকরণ নিয়ে বেশি সচেতনতা ছিল না। তা ছাড়া, এই বয়সি ছেলেমেয়েদের মধ্যে স্কুল থেকে ফেরার পথে রঙিন সরবত, আইসক্রিম খাওয়ার প্রবণতা সব চেয়ে বেশি। ফলে পানিবাহিত রোগে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকিও তাদের বেশি। তবে, প্রাপ্তবয়স্কদের মধ্যে জন্ডিসের প্রকোপ আরও বেশি। এজন্য বিশুদ্ধ পানি খাচ্ছেন কি না, তা দেখা যেমন জরুরি, তেমনই যে পাত্রে খাবার বা পানি খাওয়া হচ্ছে, সেটি কতটা পরিষ্কার, সে দিকেও নজর দেয়া দরকার।