বন্দুকযুদ্ধে নিহত কাউন্সিলর একরামুল হকের জানাজায় মানুষের ঢল, যা বললেন এমপি বদি

মাদক, যা সমাজের একটি অভিশাপের নাম। আমাদের সমাজটাকে শেষ করে দেয়ার জন্য এই একটি জিনিসই যথেষ্ট। এই মাদকের পরিমান দিন দিন বেড়েই চলেছে। কোন ভাবেই নিয়ন্ত্রন করা যাচ্ছে না। তাই এবার কঠিন পদক্ষেপে সরকার।

সরকার রীতিমত যুদ্ধ ঘোষণা করেছে মাদকের বিরুদ্ধে। তারই ধারাবাহিকতায় তারই ধারাবাহিকতায় কক্সবাজারের টেকনাফে র‍্যাবের সঙ্গে কথিত বন্দুকযুদ্ধে উপজেলা যুবলীগের সাবেক সভাপতি একরাম (৪৬) কমিশনার নিহত হয়েছেন।

তবে শেষ মুহূর্তে জানাজায় হাজারো মানুষ হাত তুলে জানান দিল একরামও ভালো মানুষ ছিলেন। বলছি টেকনাফে র‌্যাবের সঙ্গে কথিত বন্দুকযুদ্ধে নিহত কাউন্সিলর ও উপজেলা যুবলীগের সাবেক সভাপতি একরামুল হকের কথা।

গতকাল রবিবার রাত সাড়ে ১০টার দিকে টেকনাফ পাইলট উচ্চ বিদ্যালয়ের মাঠ প্রাঙ্গণে তার জানাজার নামাজ অনুষ্ঠিত হয়।এর আগে কক্সবাজার সদর হাসপাতালে ময়নাতদন্ত সম্পন্ন হয়।

জানাজায় তিল ধারণের ঠাঁই ছিল না। হাজার হাজার মানুষ জানাজায় অংশ নেন। জানাজা শেষে স্থানীয় গোরস্থানে তাকে দাফন করা হয়েছে।

জানাজার নামাজের আগে সংক্ষিপ্ত বক্তব্য রাখেন উখিয়া-টেকনাফের সংসদ সদস্য আবদুর রহমান বদি, জেলা পরিষদ সদস্য শফিক মিয়া ও নিহত একরামের মেজ ভাই মো. নজরুল ইসলাম।

এমপি আবদুর রহমান বদি বলেন, একরামুল হক কোনও ইয়াবা ব্যবসায়ী ছিলেন না। তিনি ভালো লোক ছিলেন। তিনি বন্দুকযুদ্ধের মতো ভয়ঙ্কর কোনও কাজে অংশ নিতে পারেন না।

জেলা পরিষদ সদস্য শফিক মিয়া বলেন, মাদকবিরোধী অভিযানকে স্বাগত জানাই কিন্তু একরামের মতো কোনও নিরপরাধ ব্যক্তি যাতে ক্রসফায়ারে মারা না যায় সে বিষয়ে প্রশাসনকে সতর্ক থাকতে হবে।

নিহত একরামের মেজ ভাই নজরুল ইসলাম জানাজায় উপস্থিত সকলের উদ্দেশ্যে বলেন, আমার ভাই ইয়াবা ব্যবসায়ী ছিলেন কি না সকলের কাছে জানতে চাই। সবাই সমস্বরে উত্তর দেন ‘না না’ করে।

তিনি আবার জানতে চান তার ভাই ভালো মানুষ ছিলেন কি না, এসময় সবাই হাত তুলে সমর্থন জানান নিহত একরামুল হক এলাকায় একজন ভালো মানুষ ছিলেন।

উল্লেখ্য, গত শনিবার রাত ১টার দিকে টেকনাফের বাহারছড়ার নোয়াখালীয়া পাড়া সংলগ্ন মেরিন ড্রাইভ সড়কে র‌্যাবের সঙ্গে কথিত বন্দুকযুদ্ধে কাউন্সিলর একরাম নিহত হন।

এছাড়া ঘটনাস্থল থেকে ১টি বিদেশি পিস্তল, ১টি এলজি, ৬ রাউন্ড কার্তুজ, ৫টি খালি খোসা ও ১০ হাজার ইয়াবাসহ তার মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়।