সবচেয়ে বড় স্বর্ণের আংটি : ‘নাজমুত তায়বা’ (তায়বা তারকা) নামের আংটিটি তৈরী করেছে সৌদি আরবের গোল্ড অ্যান্ড জুয়েলারি কোম্পানি লিমিটেডের পক্ষে সংযুক্ত আরব আমিরাতের তায়বা নামে একটি প্রতিষ্ঠান।
এটা কোনো সাধারণ আংটি নয়। এর প্রশস্ততা ৭০ সেন্টিমিটার বা ২৭.৫ ইঞ্চি এবং ওজন ৬৩.৮ কেজি বা ১৪০ পাউন্ড ১২ আউন্স, যা একজন পূর্ণবয়স্ক পুরুষের ওজনের সমানই।
এতে ২১ ক্যারেটের ৫৮.৬৮ কেজি স্বর্ণের ওপর ৫.১৭ কেজি (১১.৩৯ পাউন্ট) দামি পাথর। আংটিটি তৈরি করতে ৫৫ জন শ্রমিকের ৪৫ দিন লেগেছে।
সবচেয়ে দামি ধর্মীয় মূর্তি : থাইল্যান্ডের ব্যাংককে ওয়াট ত্রিমিত্র মন্দিরে রক্ষিত ১৫ শতকের তৈরী বুদ্ধমূর্তির দৈর্ঘ্য ৩ মিটার এবং ওজন প্রায় ৫.৫ টন। ডিসেম্বর ২০০৮ সালে স্বর্ণের দাম ছিল প্রতি আউন্স ৮২১ ডলার বা ৫৬৭ পাউন্ড।
সেই হিসাবে এর মূল্য দাঁড়ায় ১৫৯ মিলিয়ন ডলার বা ১০৯ মিলিয়ন পাউন্ডের বেশি। ১৯৫৪ সালে এক স্তর প্রলেপ সরিয়ে স্বর্ণের অস্তিত্ব জানা যায়।
সবচেয়ে দামি মগ : থাইল্যান্ডের ইয়ু লং কিম কি গোল্ড স্টোরের তৈরী ২৩ ক্যারেট স্বর্ণের একটি মগ ৯ জানুয়ারি ২০০৮ সালে নেসলে থাই লিমিটেড ১,০০০,০২৩ থাই মুদ্রা বা ৩৩,৮৪২ ডলারে কিনেছে।
সবচেয়ে বড় স্বর্ণভাণ্ডার : ২৫ জানুয়ারি ১৯১৭ হোয়াইট স্টার লাইনার এইচএমএফ লরেন্টিক নামে একটি জাহাজ মাইনের আঘাতে আয়ারল্যান্ডের ডনেগালে ম্যালিন হেডের কাছে ৪০ মিটার পানির নিচে ডুবে যায়। বিগত বছরগুলোতে সেখান থেকে ৪৩ টন ওজনের স্বর্ণ উদ্ধার করা হয়েছে।
সবচেয়ে বড় স্বর্ণগুদাম : ম্যানহাটনের ৩৩ লিবার্টি স্ট্রিটে অবস্থিত ফেডারেল রিজার্ভ ব্যাংক অব নিউইয়র্কে আনুমানিক ৫০০০ টন স্বর্ণের বাট রয়েছে, যার মূল্য মার্চ ২০০৮ সালের বাজার অনুযায়ী ১৬০ বিলিয়ন ডলার।
সমুদ্রস্তরের ২৬ মিটার (৮৬ ফুট) নিচে তৈরি এই ভল্টকে মনে করা হয় সবচেয়ে বড় স্বর্ণগুদাম। সুইজারল্যান্ডের ব্যাংকগুলো তাদের স্বর্ণ মজুদ সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য প্রকাশ করে না। তাদের কাছে আরো বেশি থাকতে পারে।