কোথাও জিপসির গতিরোধ চট করে সম্ভব হয় না। সেনাবাহিনী সূত্রে খবর মাহিন্দ্রা অ্যান্ড মাহিন্দ্রা এবং টাটা সাফারি মারুতি জিপসিকে বাতিল করতে উঠেপড়ে লেগেছে।
শুধুই মারুতি জিপসি কেন? বর্তমান দিনের কোনও অত্যাধুনিক জিপের সঙ্গে তার তুল্যমূল্য বিচারে অনেকটাই পিছিয়ে পড়বে মারুতি জিপসি। হাজারো রকমের অসুবিধা রয়েছে তাতে। তবু, সেনাবাহিনীতে জিপ হিসাবে ‘মারুতি জিপসি’ একমেব অদ্বিতীয়ম। কিন্তু, কেন? মারুতি জিপসি একমাত্র জিপ যার ওজন কম হওয়ায় খুব সহজেই এয়ারলিফট
করানো যায়। আবার এয়ার ড্রপিং-ও খুব সহজে হয়ে যায়। বর্তমান দিনের যত অত্যাধুনিক এসইউভি জিপ আছে, তাতে অহেতুক জিনিসপত্র দিয়ে গাড়িটিকে ভারী করে দেওয়া হয়।
মারুতি জিপসিতে এসবের কোনও ঝামেলা সেনাবাহিনীকে পোহাতে হয় না। তারপরে এতে আছে ‘র পাওয়ারের’ সুবিধা। যে কোনও স্থানে চলেও যেতে পারে জিপসি। মরুভূমির রাস্তা বলুন বা এবড়ো-খেবড়ো পাথুরে পথ।
কোথাও জিপসির গতিরোধ চট করে সম্ভব হয় না। ১২৯৮ সিসির ৪ সিলিন্ডারের ইঞ্জিন যে কোনও অত্যাধুনিক এসইউভি-র ইঞ্জিনের মতোই শক্তিশালী। প্রয়োজন অনুযায়ী, জিপসির বডি অতি সহজে রদ-বদল করানো যায়। মারুতি জিপসির মাথার উপরটা খুবই শক্তিশালী। অন্তত ২০০ কেজি ওজন বহন করতে পারে।
এছাড়াও এর উইন্ডশিলের কাঁচকে সহজেই সরিয়ে দেওয়া যায়। সেনাবাহিনী সূত্রে খবর, মাহিন্দ্রা অ্যান্ড মাহিন্দ্রা এবং টাটা সাফারি মারুতি জিপসিকে বাতিল করতে উঠেপড়ে লেগেছে। তবে ছোট আকারে এবং মেকানিক্যাল এফিসিয়েন্সি বৈশিষ্টে ভরপুর জিপসিকে আদৌ বাতিলের দলে ফেলা যাবে কি না তা নিয়ে সন্দেহ থেকেই যাচ্ছে।