ইফতারের ছবি নিয়ে তোলপাড়, সমালোচিত আরজে তাজ

সমালোচনা যেন পিছু ছাড়ছে না তার। গতবছর ফেসবুক সরগরম হয়েছিল তার সমালোচনায়। বলছি রেডিও জকি আরজে তাজের কথা। যার পুরো নাম তাসনিম বর্ষা ইসলাম।

এবার তিনি কওমি মাদরাসায় ইফতার করে, সেই ইফতারের ছবি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে আপ করে সমালোচিত হয়েছেন। আরেজে তাজ গত ২২ মে মঙ্গলবার রাত ৮ টা ১৮ মিনিটে ছবিটি আপ করেছেন তার ফেসবুক পেজে। ছবিটি প্রকাশ হবার পর এর বিপক্ষে নানান সমালোচনা করছেন সাধারণ মানুষ।

কাওসার আহমেদ মুন্না নামের একজন ছবিটি আপ করে ক্যাপশনে যা লিখেছেন, তা এই সংবাদে লেখার অযোগ্য। আরমান খান নামের একজনও সে ধরনের ভাষাই ব্যবহার করেছেন।

তারা কটাক্ষ করে বলেছেন, এমন নারীর সঙ্গে ইফতার করা কেবল কওমিদের দ্বারাই সম্ভব।
এ সব ছাড়াও তাজের পেজে ওই ছবির নিচেও এসেছে সমালোচনাসুলভ আরও অনেক কমেন্ট।

মো. আতিক হাসান অবিক নামের একজন কমেন্ট করেছেন, ‘মৌলভী, লজ্জা হয় তোমাদের দেখে! এই নির্লজ্জ মহিলার সাথে বসে ইফতার করতে লজ্জা বোধ হয় নাই?’ তবে এ ছবিটি ঠিক কোন মাদরাসার কোথায়, সেটি জানা যায়নি।

এর আগেও সমালোচিত হয়েছিলেন আরজে তাজ। ২০১৭ সালের জানুয়ারি মাস নাগাদ আরজে তাজ সমালোচিত হয়েছিলেন একটি রেডিও স্টেশনের লাইভ স্ট্রিমিংয়ে অশ্লীল শব্দ চয়ন ও অঙ্গভঙ্গির জন্য।

একটি রেডিওর ইউটিউব চ্যানেলে ‘কামড় দিও না’ নামের গানে নেচে সমালোচিত হয়েছিলেন তিনি। এ ছাড়াও লালনের ‘দিলে কী দয়া হয় না’ গানে আরজে তাজের পোশাকও সমালোচিত হয়েছিল সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে।

চলতি বছর তাজের করা দুটি প্র্যাঙ্কও সমালোচিত হয়েছিল। একটি প্র্যাংঙ্ক ছিল এরকম, হঠাৎ লিফটে গর্ভবতীর ব্যথা ওঠে। ব্যথায় অস্থির হয়ে তিনি লিফটের দেয়ালে থাপড়িয়ে চিৎকার করে বলেন, ‘আমার বাচ্চা আসছে।

আমি কীভাবে ওয়েট করবো। আমাকে হাসপাতালে যেতে হবে।’ এ দৃশ্য দেখে লিফটে অবস্থান করা অন্যান্যরা কিংকর্তব্যবিমূঢ় হয়ে পড়েন। কেউ ভয় পান, কেউ হেল্পের জন্য ফোন করেন। পড়ে যখন সবাই জানতে পারে যে এটি একটি প্র্যাঙ্ক ছিল, তখন সে বিষয় নিয়ে সমালোচনার ঝড় ওঠে।

এ ছাড়াও ইতোপূর্বে তাজ এক ব্যক্তিকে কল দিয়ে একটি প্র্যাঙ্ক করেন। ঘটনাটি ছিল, ব্যক্তিটির স্ত্রী কয়েকদিন আগে হাসপাতালে একটি বাচ্চা প্রসব করেছে। আরজে তাজ নিজেকে হাসপাতালের কর্মী পরিচয় দিয়ে বলেছিলেন- হাসপাতালের ভুলে বাচ্চা অদলবদল হয়ে গেছে। যে বাচ্চাটিকে তারা ঘরে নিয়ে গেছেন সেটি আসলে তাদের বাচ্চা নয়।

ফোনে এই খবর শুনে বাচ্চার বাবা-মা আবেগাক্রান্ত হয়ে পড়েন। প্রসূতি মা হাউমাউ করে কান্নাকাটি শুরু করেন এবং মানসিকভাবে ভেঙে পড়েন। অবস্থা বেগতিক দেখে তাজ বলেন যে, ‘আসলে এটা ‘‘প্র্যাঙ্ক’’ বা ‘‘দুষ্টুমি’’ ছিল’।
এ ঘটনাতেও তিনি সমালোচিত হয়েছিলেন।

শেয়ার করুন: