দুধ স্বাস্থ্যকর খাবারের মধ্যে অন্যতম একটি। আমরা সাধারণত গরু, মহিষ বা ছাগলের দুধ খেয়ে থাকি। কিন্তু দুধ যে শুধু গরু, মহিষ বা ছাগল থেকে আসে বিষয়টা তা নয়। আলমন্ড মিল্প বা সয় মিল্ক কিংবা কোকোনাট মিল্কও স্বাস্থ্যকর খাবার। উদ্ভিজ্জ দুধও বেশ পুষ্টিকর।
কিন্তু এবার যে দুধকে স্বাস্থ্যকর খাবারের তালিকায় যোগ করছেন বিজ্ঞানীরা, তার নাম শুনলে অনেকে অবাক হবেন। বিজ্ঞানীদের মতে, তেলাপোকার দুধ বেশ পুষ্টিকর। অবাক করার মতো এই খাবার নিয়ে গবেষণা চালিয়েছেন বিজ্ঞানীরা।
গবেষণায় বলা হয়েছে, প্যাসিফিক বিটল ককরোচ নামের এই পতঙ্গের ভেতরে ক্রিস্টালের আকারে বিরাজ করে দুধ। এটি পুষ্টি উপাদানে ভরপুর। এই স্ফটিক দুধ তেলাপোকা তার বাচ্চাকে খাওয়ায়। মানুষের জন্যেও নাকি তা পুষ্টিকর।
ওই গবেষণা প্রতিবেদনে বলা হয়, দুধ হিসেবে একে বেছে নেয়া জঘন্য মনে হওয়াটা স্বাভাবিক। তবে পিল বা অন্য
কোনো উপায়ে এই দুধ খাওয়াকে উৎসাহিত করেছেন তারা। যারা খেতে চাইবেন না, তাদের ওষুধ আকারে খাওয়ানো যেতে পারে। এমন একটি পিল তৈরি করতে ১০০টি তোলাপোকার প্রয়োজন হবে।
বিজ্ঞানীরা আরো বলেন, এটি অজানা এক স্বাস্থ্যকর দুধ। তবে কলকাতা-ভিত্তিক ফিজিসিয়ান ড. শায়ান দাসগুপ্ত একে ‘বিস্ময়কর পানীয়’ বলতে রাজি নন। বিশেষ করে যারা ক্যালোরির অভাবে ভোগেন তাদের জন্যে এই দুধ বেশ কার্যকর হবে। তবে গরুর দুধই সেরা বলে মত দিয়েছেন ড. শায়ান।
গবেষণায় দেখা গেছে, তেলাপোকার দুধে আছে গ্রোথ হরমোন। এটি অনেকের একনির কারণ হতে পারে। আবার যাদের দুধ এবং দুগ্ধজাত খাবার খাওয়ার পর বমি ভাব আসে তাদের তেলাপোকার দুধে আরো বেশি সমস্যা হতে পারে। কিন্তু এই প্রাগৈতিহাসিক প্রাণীর দুধ সত্যিকার অর্থেই নাকি বেশ পুষ্টিকর এমনটাই বলা হয়েছে ওই গবেষণাটিতে।