সিরাজগঞ্জের তাড়াশ উপজেলায় খাদিজা খাতুন সেতু নামের এক তরুণীর নারী থেকে পুরুষে রূপান্তর হওয়ার খবর পাওয়া গেছে। শুক্রবার সকালে এ খবর ছড়িয়ে পড়লে এলাকার মানুষ সেতুকে একনজর দেখার জন্য ভিড় করে তার বাড়িতে।
সেতু উপজেলার তাড়াশ সদর ইউনিয়নের তাড়াশ গ্রামের দক্ষিণ পাড়ার হাসমত আলীর মেয়ে। সরেজমিনে দেখা গেছে, তরুণীর বাড়িতে হাজারো মানুষের ভিড়। প্রতিবেশীরা দাঁড়িয়ে আছেন বাড়ির সামনের উঠানে।
দূর-দূরান্ত থেকেও দলবেঁধে উৎসুক জনতা ছুটে আসছেন তাদের বাড়িতে। আগের জীবন এবং বদলে যাওয়া জীবন নিয়ে প্রশ্নের যেন শেষ নেই মানুষের। জনতার ভিড় সামলাতে রীতিমতো হিমশিম খেতে হচ্ছে।
তরুণীর বাবা হাসমত আলী জানান, স্থানীয় স্কুল-কলেজ থেকে এসএসসি ও এইসএসসি পাস করেন খাদিজা খাতুন সেতু। গত বছর ঢাকাস্থ একটি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ে টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ারিং নিয়ে পড়ালেখা শুরু করেন।
বিশ্ববিদ্যালয়ের কয়েকজন সহপাঠী প্রথমে সেতুর পুরুষে রূপান্তর হওয়ার বিষয়টি তাকে অবগত করেন। এর মাত্র কয়েকদিন পর সেতু নিজে থেকেই বাবা-মাকে জানিয়ে দেন।
সাবধান খাদিজার মত এই ভুলটি করলে আপনিও মেয়ে থেকে ছেলেতে রূপান্তরিত হবেন
সেতুর মা নাজমা খানম জানান, তিনি অনাবৃত করে দেখেছেন মেয়েকে। তার শারীরিক পরিবর্তন ঘটেছে। নারী থেকে পুরুষে রূপান্তর হয়েছেন সেতু। একই সঙ্গে তার জীবনযাপন ও আচরণগত পরিবর্তন এসেছে।
রূপান্তরিত খাদিজা খাতুন সেতুর নাম রাখা হয়েছে মো. সাহুল সিদ্দিকী। নিজের রূপান্তরের বিষয়ে সাহুল সিদ্দিকী জানান, গত মার্চ মাসের ৩০ তারিখ দিনগত রাতে ঘুম থেকে জেগে হঠাৎ তার শারীরিক পরিবর্তন লক্ষ করেন। পরে বাবা-মা ও নিকট আত্মীয়দের সঙ্গে আলাপ-আলোচনা করেন।
এরপর এক অভিজ্ঞ চিকিৎসকের মাধ্যমে নারী থেকে পুরুষে রূপান্তরিত হওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত হন। সবার প্রশ্ন তাহলে খাদিজা হরমন পরিবর্তন করেছেন। খাদিজা নিজেই ভুল করে এই কাজটি করেছে। আসলে কি নিজে নিজে হরমোন পরিবর্তন করা যায়?
এ প্রসঙ্গে তাড়াশ উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. এহিয়া কামাল জানান, হরমোনের কারণে এরকম দৈহিক পরিবর্তন হওয়া অস্বাভাবিক কিছু নয়।