পেটের গ্যাস

ফুডপয়জনিং এর চিকিৎসা ও প্রতিরোধের উপায়

ফুডপয়জনিং এর চিকিৎসা – খাবার থেকে যে অসুস্থতার সৃষ্টি হয় তাকে ফুডপয়জনিং বা খাদ্যে বিষক্রিয়া বলে। সাধারণত রাস্তা বা হেটেলের বাসি খাবার, পচা খাবার, অস্বাস্থ্যকর, জীবাণুযুক্ত খাবার, অনেকক্ষণ গরমে থাকার ফলে নষ্ট হয়ে যাওয়া খাবার খেলে ফুডপয়জনিং হওয়ার আশঙ্কা থাকে।

বন্যার সময় পানীয় জলের অভাব, হাওর-বিল-বাঁওড়ের পচা মাছ এসবের কারণে ফুডপয়জনিং জটিল আকার ধারণ করে। এ অবস্থাকে আমরা পেটের পীড়া বলে থাকি।

চিকিৎসা: ফুডপয়জনিং হলে প্রথমত খাবার-দাবার খাওয়ার ব্যাপারে সতর্ক হতে হবে। আক্রান্ত ব্যক্তিকে নরম খাবার দেওয়া ভালো। এ ছাড়া লক্ষণ অনুযায়ী চিকিৎসা দেওয়া উচিত।

যেমন – জ্বর হলে প্যারাসিটামল, বমি ও পাতলা পায়খানা হলে খাবার স্যালাইন দেওয়া যায়। পাশাপাশি ফুডপয়জনিংয়ের তীব্রতা অনুযায়ী উপযুক্ত অ্যান্টিবায়োটিক বা জীবাণুনাশক ঔষুধ সেবন করলে দ্রুত ফুডপয়জিংয়ে আক্রান্ত ব্যক্তি নিরাময় লাভ করতে পারেন। অনেক ক্ষেত্রে একধরনের টক্সিন (এনথ্রাক্স, বোটুলিমিনাস টক্সিন) থেকেও ফুডপয়জনিং হতে পারে।

সময়মতো এ রোগের চিকিৎসা করা না হলে শরীরে ভীষণ পানিশূন্যতা দেখা দিতে পারে। এ থেকে রোগীর কিডনি অকেজো হয়ে পড়তে পারে। যা কি-না মৃত্যুর কারণ হয়ে দাঁড়াতে পারে।

প্রতিরোধের উপায়: – রাস্তার খোলা খাবার খাবেন না। – পানি ফুটিয়ে খেতে হবে। – বাসন-কোসন ভালোভাবে ধুতে হবে। – খাওয়ার আগে হাত ভালো করে ধুতে হবে। – দুধ, কলা, ফলমূল বেশি দিন পুরনো হয়ে গেলে খাবেন না। – গরমের সময় হোটেলের খাবার এড়িয়ে যাওয়াই ভালো। কেননা অনেক হোটেলেই স্বাস্থ্য সচেতনতার বিষয়টি লক্ষ্য রাখা হয় না। – যতটা সম্ভব টাটকা খাবার খাওয়ার চেষ্টা করুন। কয়েকদিন ধরে ফ্রিজে রাখা আছে এমন খাবার খাওয়া ঠিক নয়। – খাবার ঠিকমতো ঢেকে রাখুন, নয়তো বিভিন্ন ধরনের কীটপতঙ্গ খাবারে বসে জীবাণু ছড়াতে পারে।

শেয়ার করুন: