ফরমালিন যুক্ত মাছ – ফরমালিন মানুষের কিডনী ও লিভারকে অকেজো করে। স্মৃতিশক্তি- বিশেষ করে শিশুদের বুদ্ধিমত্তা, দিন দিন কমিয়ে দেয়। পাকস্থলী, ফুসফুস ও শ্বাসনালীতে ক্যান্সার সৃষ্টি করে।
ফরমালিন যুক্ত খাবার খাওয়ার কারণে গর্ভবতী মায়েদের সন্তান প্রসবে জটিলতা, জন্মগতত্রুটি নিয়ে শিশু জন্মগ্রহণ করতে পারে। অাসুন অাজ জেনে নেয়া যাক ফরমালিন যুক্ত মাছ চেনার উপায় ও তা থেকে ফরমালিন দূর করার উপায়।
ফরমালিনবিহীন মাছের ফুলকা উজ্জ্বল লাল বর্ণের হয়। চোখ ও আঁইশ উজ্জ্বল হয়, শরীরে আঁশটে গন্ধ পাওয়া যায়। মাছের দেহ নরম হয়, ত্বকের আঁশ পিচ্ছিল থাকে।
অন্যদিকে ফরমালিন যুক্ত মাছের ফুলকা ধূসর বা কালছে বর্নের, চোখ ঘোলাটে ও ভিতরের দিকে ঢুকানো থাকে৷ ফরমালিনের গন্ধ পাওয়া যায়। এছাড়া ফরমালিনযুক্ত মাছে মাছি বসে না। আঁইশ তুলনামূলক ধূসর বর্ণের হয়, শরীরে আঁশটে গন্ধ কম পাওয়া যায়, দেহ পিচ্ছিল থাকেনা ও তুলনামূলক শক্ত হয়।
ফরমালিন যুক্ত মাছ যদি কিনেই ফেলেন তাহলে তা দূর করতে পানিতে প্রায় ১ ঘন্টা মাছ ভিজিয়ে রাখুন। তাহলে ফর্মালিনের মাত্রা শতকরা ৬১ ভাগ কমে যাবে। লবনাক্ত পানিতে ফর্মালিন দেওয়া মাছ ১ ঘন্টা ভিজিয়ে রাখলে শতকরা প্রায় ৯০ ভাগ ফর্মালিনের মাত্রা কমে যাবে। এছাড়া প্রথমে চাল ধোয়া পানিতে ও পরে সাধারণ পানিতে ফর্মালিন যুক্ত মাছ ধুয়ে ফেললে-
শতকরা প্রায় ৭০ ভাগ ফর্মালিন দূর হয়। সবচাইতে ভাল পদ্ধতি হচ্ছে ভিনেগার ও পানির মিশ্রণে ১৫ মিনিট মাছ ভিজিয়ে রাখলে শতকরা প্রায় ১০০ ভাগ ফর্মালিনই দূর হয়।