শুধু যে সন্ধ্যা নামলেই চারদিকে মশার উপদ্রব বেড়ে যায় তা নয়, ভোর বেলায়ও মশার হাত থেকে রেহাই নেই। কোথাও শান্তিতে একটু বসে থাকার জো নেই। বসলেই মশা আপনাকে ঘিরে ফেলে।
সেইসঙ্গে বারবার কামড়ানো তো আছেই। বিষয়টি কম-বেশি সবার কাছেই অনেক বিরক্তির। এ ক্ষেত্রে মশার উপদ্রব হতে বাঁচতে অনেকেই কয়েল জ্বালানোসহ নানা পথ অবলম্বন করেন।
কিন্তু মশা যখন আপনাকে কামড়ে দিয়েই ফেলে তখন কী করবেন? ত্বকের যে অংশে মশা কামড়ায় সেখানে একটা দাগ পড়ে যায়। অনেক সময় ওই জায়গা চুলকাতে চুলকাতে লাল হয়ে যায় এবং র্যা শ ওঠে।
এ ক্ষেত্রে ত্বকের এসব সমস্যা সমাধানের উপায় হতে পারে কলার খোসা। এটি মশার কামড়ের ফলে ত্বকের প্রদাহ কমিয়ে আনতে সাহায্য করে। মশার কামড়ের চিকিৎসায় কলার খোসা কীভাবে ব্যবহার করবেন তা জানিয়ে দিয়েছে লাইফস্টাইল বিষয়ক ওয়েবসাইট বোল্ডস্কাই ডট কম-
পদ্ধতি ১: একটি কলা ও একটি ছুরি নিন। কলার খোসা ছাড়িয়ে একপাশে রাখুন। এবার কলার খোসাটি ভিতর থেকে আবারও ছাড়িয়ে নিন। খোসার এই অংশটি একটি বাটিতে নিয়ে এর সঙ্গে কয়েক ফোঁটা গ্লিসারিন মেশান।
এবার এই উপকরণটি ব্রেন্ড করে পেস্ট তৈরি করুন। এটি কয়েক মিনিটের জন্য রেখে দিন। পরে এই পেস্টটি ফেসপ্যাকের মতো করে আক্রান্ত জায়গায় লাগিয়ে নিন।
এভাবে এক ঘণ্টা রেখে পরিষ্কার ঠাণ্ডা পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলুন। তবে ধোয়ার সময় বৃত্তাকারে ম্যাসাজ করতে করতেই পেস্টটি তুলে ফেলুন। পরে তোয়ালে দিয়ে আক্রান্ত স্থান মুছে ফেলুন।
এই প্যাকের সুবিধা: ১/ কলার খোসায় নন-ইনফ্ল্যামেটরি বৈশিষ্ট্য রয়েছে, যা মশার কামড়ের ফলে সৃষ্ট সমস্যা কমাতে সাহায্য করে। একই সঙ্গে মশার কামড়ের দাগ মুছে ফেলতেও ভূমিকা রাখে এই প্যাক।
২/ মশার কামড়ের ফলে ত্বকের চুলকানি কমিয়ে আনতে সাহায্য করে কলার খোসা। ৩/ এটি কুলিং এজেন্ট হিসেবে কাজ করে ব্যথা কমিয়ে আনে। ৪/ গ্লিসারিনের ব্যবহার আক্রান্ত স্থানের আর্দ্রতা বজায় রাখে। এর ফলে কালো দাগ সহজেই প্রতিরোধ করা যায়।
পদ্ধতি ২: একটি বাটিতে কলার খোসা রাখুন। এবার আগের মতো করেই ভেতর থেকে কলার খোসা ছাড়ান। এবার এর সঙ্গে গোলাপজল মিশিয়ে ব্রেণ্ড করে পেস্ট বানিয়ে নিন। পেস্টটি কয়েক মিনিটের জন্য রেখে পরে আক্রান্ত স্থানে লাগিয়ে নিন।
এবার একটি কাপড়ে কয়েকটি বরফের টুকরো ভালোভাবে বেধে আক্রান্ত স্থানে রাখুন। এভাবে কমপক্ষে আধা ঘণ্টা রাখুন। পরে কাপড়টি সরিয়ে পরিষ্কার পানি দিয়ে পেস্টটি ধুয়ে তোয়েলে দিয়ে মুছে ফেলুন।
এই প্যাকটির সুবিধা: ১/ বরফ মশার কামড়ের ফলে চুলকানি এবং ব্যথা কমাতে সাহায্য করে। ২/ গোলাপজল আক্রান্ত স্থানে একটা ঠাণ্ডা অনুভূতি ছড়িয়ে ত্বককে সুস্থ করে তোলে।
পদ্ধতি ৩: একটি বাটিতে কলার খোসা নিন। এবার আগের মতো করেই কলার খোসা থেকে ভেতরের অংশ ছাড়িয়ে নিন। একটি মাঝারি আকারের শশা নিয়ে কুচি কুচি করে কেটে নিন।
এবার সব উপকরণ একসঙ্গে মিশিয়ে ব্লেণ্ড করে ভালোভাবে পেস্ট বানিয়ে নিন। এই পেস্টটি আক্রান্ত স্থানে লাগিয়ে কমপক্ষে এক ঘণ্টা রাখুন। পরে ঠাণ্ডা পানি দিয়ে পরিষ্কার করে তোয়েলে দিয়ে মুছে ফেলুন।
এই প্যাকটির সুবিধা: ১/ ঠাণ্ডা পানি ত্বকের জ্বালাপোড়া কমিয়ে আনতে সাহায্য করে। ২/ ব্যথা থেকে মুক্তি দিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে শসা