মিষ্টি কুমড়া

যে কারণে খাবেন মিষ্টি কুমড়া

সবজি হিসেবে মিষ্টি কুমড়া সুপরিচিত ও খুবই পুষ্টিদায়ক। আপনি একজন স্বাস্থ্য সচেতন মানুষ হিসেবে প্রতিদিন না হলেও সপ্তাহে দুই থেকে তিন দিন মিষ্টি কুমড়া খান। এই সবজিটিতে রয়েছে প্রচুর পরিমাণ স্বাস্থ্য উপকারিতা।

মিষ্টি কুমড়া ভিটামিন এ, বি-কমপ্লেক্স, সি এবং ই, পটাশিয়াম, ম্যাগনেসিয়াম, ক্যালসিয়াম, ম্যাঙ্গানিজ, আয়রন, জিঙ্ক, ফসফরাস, কপার, ক্যারটিনয়েড এবং অন্যান্য অ্যান্টিঅক্সিডেন্টসমূহের ধারক।

এছাড়াও বিটা-ক্যারোটিন সমৃদ্ধ এই সবজিটি আমাদের দেহের ক্যান্সার প্রতিরোধক কোষ গঠন করে। আমাদের আজকের এই প্রতিবেদন থেকে আরও জেনে নিন মিষ্টি কুমড়ার আরও বিশেষ ৬ উপকারিতা সম্পর্কে-

১। চোখের যত্নে- এককাপ পরিমাণ রান্না করা মিষ্টি কুমড়া আমাদের চোখের সুস্বাস্থ্য রক্ষা করতে অন্যান্য খাবার থেকে ১০০ গুণ বেশি কাজ করে। বিটাক্যারোটিন ও আলফা-ক্যারোটিনের মতো ক্যারটিনয়েডসমূহ চোখের ছানিপড়া রোধসহ চোখের রেটিনা কোষ রক্ষা করে। তাই চোখকে সচল ও সুস্থ রাখতে আপনার খাদ্য তালিকায় মিষ্টি কুমড়া যোগ করুন।

২। ক্যান্সার দূরে রাখে- মিষ্টি কুমড়ায় থাকে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট সমৃদ্ধ যেটা ক্যান্সার প্রতিরোধে সাহায্য করে। এছাড়া অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট কোলেস্টেরল কম রাখতেও ভূমিকা পালন করে। আর্টারির দেয়ালে চর্বির স্তর জমতে বাধা প্রদান করে। ফলে মিষ্টি কুমড়া নিয়মিত খেলে হৃদরোগও প্রতিরোধ করা যায়।

৩। রক্তে শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণ করে- কুমড়ার বীজ রক্তে শর্করার মাত্রা হ্রাসে অনেক সহায়তা করে। কুমড়ার বীজে উচ্চ ম্যাগনেসিয়াম রয়েছে যা ডায়াবেটিস রোগীদের জন্য উপকারী। হার্ভার্ড স্কুল অফ পাবলিক হেলথ দ্বারা পরিচালিত একটি গবেষণায় দেখা গেছে যে, ম্যাগনেসিয়াম গ্রহণ এবং ডায়াবেটিসের ঝুঁকির মধ্যে একটি উল্লেখযোগ্য বিপরীত সম্পর্ক রয়েছে। তাই প্রতিদিন কুমড়ার বীজ খাওয়ার অভ্যাস করুন।

৪। ওজন কমাতে- কম ক্যালোরি এবং উচ্চ ফাইবারযুক্ত খাবার মিষ্টি কুমড়া ওজন কমাতে একটি উপযুক্ত খাবার। এছাড়া মিষ্টি কুমড়ার উচ্চ পটাসিয়াম কন্টেন্টও খুব সুন্দরভাবে আপনার শরীরের বাড়তি মেদটুকু সযত্নে ঝরিয়ে দিতে সাহায্য করে। যারা তাদের শরীরের অতিরিক্ত ওজন নিয়ে বিব্রত তারা নিঃসন্দেহে কুমড়া খেতে পারেন।

৫। কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করে- মিষ্টি কুমড়ায় প্রচুর পরিমাণে আঁশ থাকায় তা সহজেই হজম করতে সাহায্য করে। হজমশক্তি বৃদ্ধি ও কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করতে মিষ্টি কুমড়ার জুড়ি নেই।

৬। বয়সের ছাপ পড়তে দেয় না- মিষ্টি কুমড়াতে আছে প্রচুর পরিমাণে জিংক ও আলফা হাইড্রোক্সাইড। জিংক ইমিউনিটি সিস্টেম ভালো রাখে ও অস্টিওপোরোসিস প্রতিরোধ করতে সাহায্য করে। এছাড়া বয়সের ছাপ প্রতিরোধ করতেও মিষ্টি কুমড়া সাহায্য করে।

শেয়ার করুন: