আম

আমে উপকার, আবার আমেই ক্ষতি

শিগগিরই আমের গন্ধে মৌ মৌ করবে আপনার অন্দরমহল। আসছে আমের দিন। ফলের রাজাকে পছন্দ করেন না এমন মানুষ পাওয়া দুষ্কর। ব্যস্ত সকাল, অলস দুপুর কিংবা ঘুম জড়ানো রাতে আমের স্বাদ নিতে কারো কোনো আপত্তি নেই। এই টক এবং মিষ্টি সুস্বাদু ফল সবার প্রিয় হলেও তার ভেতরের চিনি অনেক স্বাস্থ্যসচেতন মানুষের কাছে চিন্তার বিষয় হয়ে ওঠে।

অনেকের মাথায় একটি দুশ্চিন্তা থাকে। তা হলো- আমে কি ওজন বাড়ে? হাজার হলেও ডায়াবেটিসের মতো স্থূলতা মহামারী রোগের মতো দেখা দিয়েছে। এতে আছে চিনি। তবে এতে কৃত্রিম চিনি থাকে না, আছে প্রাকৃতিক চিনি। তাই তেমন ক্ষতিকর নয়। জেনে নিন আমের ভালো-মন্দের কথা।

পুষ্টির পাওয়ার হাউজ: আম কেবল খাঁটি মাংসল ফলই নয়, এতে ভিটামিন আর খনিজ ভরপুর রয়েছে। আছে ভিটামিন এ, আয়রন, কপার আর পটামিয়াম।

শক্তিবর্ধক: দারুণ শক্তি মেলে আম থেকে। দেহে প্রাকৃতিক চিনির তৎপরতা বৃদ্ধি করে। ফলে শক্তি বাড়ে এবং গোটা দিন আপনি চনমনে থাকবেন।

রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি: আমে কিন্তু প্রচুর ভিটামিন সি রয়েছে। আরো আছে ভক্ষণযোগ্য ফাইবার। এগুলো দেহের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করে।

বেশি খাওয়ার লোভ কমায়: আম খেলে পেট ভরে যায়। ফলে আপনার অন্যান্য অস্বাস্থ্যকর খাবার খাওয়ার লোভ জাগবে না। আবার বেশি আম খাওয়াও কিন্তু স্বাস্থ্যের পক্ষে ভালো নয়। কাজেই নিয়ন্ত্রণ রাখতে হবে।

মাঝারি আমের ক্যালোরি মাত্রা: একটি মাঝারি সাইজের আমে রয়েছে ১৫০ ক্যালোরি। কাজেই অনেকগুলো আম খেলে অনেকখানি ক্যালোরি জমবে দেহে। তাই বুজে শুনে খেতে হবে।

খাবার পরে খেলে... যদি সকালে, দুপুরে বা রাতে খাবার গ্রহণের পর আম খান তবে ক্যালোরি গ্রহণের পরিমাণ অনেক বৃদ্ধি পাবে। তাই একে মূল খাবার হিসেবে গ্রহণ করতে পারেন।

বিকালের খাবারে আম: আমের মৌসুমে বিকালের হাল্কা নাস্তা হিসেবে আম বেছে নিতে পারেন।

আর রাতে... রাতে আম না খাওয়াই ভালো। এই ফল আসলে দিনের প্রথম ভাগে খাওয়া উচিত।

বেশি খেলে...পুষ্টিবিদরা বলেন, বেশি আম খেলে ক্যালোরি বেশি জমে। ফলে ওজন বাড়তে পারে। তাই যাদের ওজন এমনিতেই নিয়ন্ত্রনের বাইরে তাদের বুঝে শুনে খাওয়া উচিত।

ইনসুলিনের মাত্রা বাড়ে: যেহেতু এতে চিনি আছে তাই অতিরিক্ত খেলে ইনসুলিনের মাত্রায় উত্থান-পতন ঘটে। ফলে হঠাৎ করে ক্ষুধা লেগে যেতে পারে। আবার দেহের তাপমাত্রাও বাড়ে।

শেয়ার করুন: