আমরা আসলে কি খাচ্ছি না খাচ্ছি সেদিকে আমাদের খেয়াল থাকে না। খাবার আগে খাবারটা কীভাবে আসছে কোথা থেকে আসছে সেটা খেয়াল করি না। সম্প্রতি ভাগাড়ের মাংস নিয়ে ভয় যেন কিছুতেই কাটছে না। তবে, শুধু মাংস খাওয়া বন্ধ করলেই কি হবে! সারা জীবনে কত জীবাণু আর পোকা খেয়েছেন তার কোনও ঠিক আছে নাকি?
সফট ড্রিংক, কাপকেক, জেলি- এসবে থাকে এই বিষাক্ত ফুড কালার। যার মধ্যে রয়েছে ‘কার্মাইন’ নামে একটি জিনিস, যা নাকি তৈরি হয় কিছু পোকা থেকে। পেরুতে রীতিমত চাষ হয় সেই পোকার। সেগুলো পিষেই তৈরি হয় এই রঙের উপাদান। শুধু কাবার নয়, প্রসাধনীতেও ব্যবহার করা হয় সেই রঙ।
দই থেকে শুরু করে আইসক্রিম, ফলের পাই থেকে শুরু করে কোমল পানীয়ে ব্যবহৃত হচ্ছে ‘কার্মাইন’। ‘কার্মাইন’-এর এই ব্যাপক ব্যবহারের কারণ হচ্ছে, এটি নিরাপদ আর দীর্ঘস্থায়ী, যা তাপ বা আলোর কারণে নষ্ট হয়না।
দাবি করা হয়, পাঁচশো বছরেরও আগে থেকে দক্ষিণ আমেরিকান একটি গোষ্ঠীর মানুষরা এই পোকা ব্যবহার করতো। কৃত্রিমভাবে তৈরি খাবারের রঙের তুলনায় এটি মানুষের স্বাস্থ্যের জন্য অনেক ভালো বলে তারা মনে করেন।
‘কার্মাইন’ নিয়ে গবেষণা করেছেন অ্যামি বাটলার গ্রিনফিল্ড। তিনি বলছেন, খুব কম মানুষেরই এই খাদ্য উপাদানে সমস্যা হয়। সবমিলিয়ে খাবারের উপাদান হিসাবে এর অতীত খুবই ভালো। বিশ্বে ‘কার্মাইন’-এর ৯৫ শতাংশই উৎপাদন করে পেরু।
স্ত্রীলিঙ্গের পোকাগুলোই চাষ করা হয়, কারণ এগুলোর ডানা থাকে না, ফলে উড়তেও পারে না। বছরে বছরে বিশ্বে ‘কার্মাইন’-এর চাহিদাও বাড়ছে, ফলে এর দামও চড়া হচ্ছে। গত চার বছরে দাম বেড়েছে ৭৩ শতাংশ। টমেটো বা বেরী থেকে যে রঙ তৈরি হয়, সেটা খুব একটা স্থায়ী হয় না। তাই এর চাহিদা অনেকটাই বেশি।