তারেক রহমান
তারেক রহমান

তারেক ইস্যুতে ঢাকার কাছে ব্যাখ্যা চেয়েছে ব্রিটিশ সরকার

লন্ডনে অবস্থান করা বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের পাসপোর্ট ইস্যু নিয়ে ঢাকার কাছে ব্যাখ্যা চেয়েছে ব্রিটিশ সরকার। একই সঙ্গে এঘটনায় অস্বস্তি, গভীর উদ্বেগ ও বিরক্তি প্রকাশ করেছে ব্রিটেন। একাধিক কূটনৈতিক সূত্র থেকে এ তথ্য জানা গেছে। তবে কীভাবে বিষয়টি জানতে চেয়ে ব্রিটেন তা বিস্তারিত জানা যায়নি।

লন্ডনে বাংলাদেশ হাইকমিশনে পাসপোর্ট জমা দিয়ে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান বাংলাদেশের নাগরিকত্ব বর্জন করেছেন বলে গত সপ্তাহে জানান পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী শাহরিয়ার আলম। এনিয়ে আলোচনা-সমালোচনা ‍শুরু হলে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে এ সংক্রান্ত কিছু নথি প্রকাশ করেন প্রতিমন্ত্রী। ওই নথির একাধিক ভুল ও গ্রহণযোগ্যতা নিয়ে প্রশ্ন তোলে বিএনপি। পরে এনিয়ে রাজনৈতিক অঙ্গনে নতুন বিতর্ক শুরু হয়।

কূটনৈতিক সূত্র জানিয়েছে, বিষয়টি ব্রিটেনের তরফে গভীরভাবে পর্যবেক্ষণ করা হচ্ছে। এ নিয়ে ঢাকার সঙ্গে বৃটিশ ফরেন অফিসের অনানুষ্ঠানিক যোগাযোগও হয়েছে। তারা বিষয়টি জানার চেষ্টা করেছেন। এ সংক্রান্ত তথ্য কখনও প্রকাশ করেনি বৃটিশ সরকার। কারণ তথ্য প্রকাশ না করার বৃটেনের নিয়মনীতি রয়েছে।

পশ্চিমা এক কূটনীতিক জানান, যুক্তরাজ্য ব্যক্তির তথ্যের গোপনীয়তার বিষয়ে বেশ সচেতন। ব্যক্তিগত তথ্যের গোপনীয়তাবিষয়ক বৃটিশ আইন এখনো ব্যক্তি তারেক রহমানের যুক্তরাজ্যে ‘লিগ্যাল স্ট্যাটাস’ (আইনি অবস্থান) প্রকাশের ক্ষেত্রে বাধা। কিন্তু পাল্টাপাল্টি চ্যালেঞ্জের মুখে এক পক্ষ তারেক রহমানের পাসপোর্টের অনুলিপি, তথ্য ও চিঠি সাংবাদিকদের হাতে তুলে দিয়েছে।

আরেক পক্ষ চিঠি নিয়ে প্রশ্ন তুললেও স্বীকার করে নিয়েছে যে তারেক রহমান বৃটেনে রাজনৈতিক আশ্রয়ে আছেন। এ অবস্থায় রাজনৈতিক বিতর্ক ও পাল্টাপাল্টি চ্যালেঞ্জের মধ্যে দুই পক্ষই ব্যক্তির গোপনীয়তার অধিকার ক্ষুণ্ন করেছে। চিঠির ব্যাখ্যা বৃটিশ স্বরাষ্ট্র দফতরই দিতে পারে। ওই ব্যাখ্যা দেয়ার অর্থ হবে তা স্বীকার বা অস্বীকার করা। দুটির কোনোটিই হয়তো বৃটিশ সরকার বা হাইকমিশন করবে না।

শেয়ার করুন: