ফেনী-৩ আসনের সংসদ সদস্য হাজী রহিম উল্যাহর ব্যবহৃত গাড়ি ভাঙচুর ও তার মালিকীয় দুটি স্কেভেটর গাড়িতে অগ্নিসংযোগ করেছে দুর্বৃত্তরা। শনিবার দুপুরে এমপি হাজী রহিম উল্যাহ সোনাগাজী বাজারে তার ব্যক্তিগত কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে এ ঘটনায় নিজদলীয় কর্মীদের দায়ী করেন। সংবাদ সম্মেলনে তিনি অভিযোগ করেন, শুক্রবার রাত ১২টার দিকে তার ব্যবহৃত গাড়িটি (ভিএক্স, ভিএইট) (নং- ঢাকা মেট্রো-১৫-৩৯২২) মহুরী সেচ প্রকল্প সংলগ্ন রেখে হেঁটে রেগুলেটর সংলগ্ন স্থানে যান
কিছুক্ষণ পর সড়ক পথে ও মুহুরী নদীপথে দুর্বৃত্তরা এসে তার গাড়ি লক্ষ্য করে এলোপাতাড়ি বোমা ফাটিয়ে ও ফাঁকা গুলি করে। পরে পেট্রল ঢেলে তার দুটি গাড়িতে অগ্নিসংযোগ করে পুড়ে দেয় দুর্বৃত্তরা। এ সময় তার ল্যান্ডক্রুজার গাড়িটি প্রায় দুই কিলোমিটার উত্তর দিকে সোনাগাজী-মহুরী প্রজেক্ট সড়কের ৭নং স্লুইজ গেটে ভাঙচুর করে রেখে যায় তারা।
খবর পেয়ে সোনাগাজী ফায়ার সার্ভিস দল ও পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে তার একটি গাড়ির আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে এবং এমপির অপর ভাঙচুরকৃত গাড়িটি উদ্ধার করে। এতে এমপির প্রায় ৩০/৩৫ লাখ টাকার ক্ষতি হয়েছে বলে দাবি করেন। এ ঘটনার জন্য তিনি ফেনী-২ আসনের এমপি নিজাম উদ্দিন হাজারী ও তার সমর্থকদের দায়ী করে বলেন, তাকে একরামের মত নৃশংসভাবে হত্যা করতে চেয়েছিলো দুর্বৃত্তরা। অল্পের জন্য তিনি ও তার সমর্থকরা রক্ষা পান।
তিনি আরও দাবি করেন, তার সঙ্গে এমপি নিজাম উদ্দিন হাজারী ও তার সমর্থক ছাড়া অন্য কারও বিরোধ নেই। আধিপত্য বিস্তার নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে এমপি নিজাম উদ্দিন হাজারী ও তার সমর্থকদের সঙ্গে তার বিরোধ চলছিলো। তার দাবি এমপি নিজাম উদ্দিন হাজারীর নির্দেশে তার সমর্থকরা এ ঘটনা ঘটিয়েছে। এ ঘটনার সুষ্ঠু তদন্তের মাধ্যমে জড়িতদের গ্রেফতার ও দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি করেন তিনি।