সাকিবের বেতন মাত্র ১২ ভাগের ১ ভাগ!

বাংলাদেশের ক্রিকেটের 'পোস্টর বয়' বলা হয়ে সাকিব আল হাসানকে। স্বাভাবিকভাবেই বিশ্ব সেরা অল-রাউন্ডারের আয়ও অন্যান্য ক্রিকেটারদের তুলনায় বেশি।

কিন্তু তার সমপর্যায়ের তারকাদের সঙ্গে তুলনা করলে বোঝা যাবে, বাংলাদেশের ক্রিকেটাররা আসলে কত বেশি বেতন পেয়ে থাকেন। শুরুতেই জানিয়ে দেওয়া যাক, সাকিব আল হাসানের বেতন বিশ্বের সর্বোচ্চ বেতন পাওয়া ক্রিকেটারের ১২ ভাগের ১ ভাগ!

বর্তমান যুগে ক্রিকেটারদের বেতন-ভাতা অন্যতম আলোচনার বিষয়। গত বছর অস্ট্রেলিয়ার জাতীয় ক্রিকেট দলের সাথে ক্রিকেট অস্ট্রেলিয়ার বেতন-ভাতা নিয়ে দ্বন্দ্ব এই আলোচনায় নতুন মোড় নিয়ে আসে।

চুক্তি বাতিলের আগে ক্রিকেটারদের মধ্যে সর্বোচ্চ বাৎসরিক বেতন ছিল অস্ট্রেলিয়ার সাবেক অধিনায়ক স্টিভেন স্মিথের। প্রতি বছর তার আয় ছিল ১৪ লাখ ৭০ হাজার ডলার।

ইংল্যান্ডের টেস্ট অধিনায়ক জো রুটের বেতন বছরে ১৩ লাখ ৮০ হাজার ডলার। ভারতের অধিনায়ক বিরাট কোহলি আয় করেন ১০ লাখ ডলার প্রতি বছর।

তবে এই তিন দেশ ছাড়া বাকি দেশগুলোর সর্বোচ্চ আয় করা ক্রিকেটারের বেতন অর্ধেকেরও কম। যেমন দক্ষিণ আফ্রিকার ফাফ ডুপ্লেসিস আয় করেন প্রতি বছর ৪ লাখ ৪০ হাজার ডলার। শ্রীলঙ্কার অ্যাঞ্জেলো ম্যাথুজ বছরে ৩ লাখ ২০ হাজার ডলার আয় করেন।

আশ্চর্যের ব্যাপার হলো, পাকিস্তানের মাটিতে বছরের পর বছর আন্তর্জাতিক ক্রিকেট ম্যাচ অনুষ্ঠিত না হলেও দেশটির ক্রিকেটাররা বাংলাদেশি ক্রিকেটারদের চেয়ে বেশি বেতন পান!

পাকিস্তানের ক্রিকেটার সরফরাজ খানের আয় যেখানে ৩ লাখ ডলার; সেখানে বাংলাদেশের মহাতারকা সাকিব আয় করেন মাত্র ১ লাখ ৪০ হাজার ডলার! যা বাংলাদেশের মুদ্রায় ১ কোটি ১৬ লাখ ১৪ হাজারের একটু বেশি।

সাকিবের বেতনের মাপকাঠি পরিস্কার করতে আরও একটি তথ্য দেওয়া যেতে পারে। চুক্তির শীর্ষ ক্যাটাগরিতে থেকে সাকিব যেখানে সোয়া কোটি টাকা পান, সেখানে ভারতের 'সি' ক্যাটাগরির ক্রিকেটারদের বেতন ১ কোটি ২৫ হাজার টাকা প্রায়।

একমাত্র জিম্বাবুয়ের সর্বোচ্চ আয় করা গ্রায়েম ক্রেমার সাকিবের চেয়ে কম বেতন পান। বছরে তার বেতন ৭৪ লাখ ৬৮ হাজার টাকা।এছাড়া ম্যাচ ফি ও অন্যান্য সুযোগ সুবিধার তারতম্যের কারণেও আয় বাড়ে কমে।

বিশ্বব্যাপী অন্যান্য খেলার চেয়ে ক্রিকেটারদের আয় বেশ কম। আমেরিকার ফোর্বস ম্যাগাজিনের ২০১৭ সালের জুলাই মাসের সমীক্ষা অনুযায়ী, বিজ্ঞাপন বা অন্য খাত বাদে, শুধু খেলা থেকে পর্তুগিজ ফুটবলার ক্রিস্টিয়ানো রোনালডো প্রতি বছর আয় করেন ৫৮ মিলিয়ন ডলার।

ফর্মুলা ওয়ানের ব্রিটিশ রেসার লু্‌ইস হ্যামিলটনের আয় ৩৮ মিলিয়ন ডলার, যুক্তরাষ্ট্রের লেব্রন জেমসের আয় ৩৬ মিলিয়ন ডলার। শুধু ফুটবলে খেলেই রোনালদোর আয় বছরে ৫৮ মিলিয়ন ডলার। এছাড়া গলফ বা টেনিসের সর্বোচ্চ আয়ের ক্রীড়াবিদ একজন ক্রিকেটারের চেয়ে বেশি আয় করে।

** স্টিভেন স্মিথ (চুক্তি বাতিল)- ১২ কোটি ১৯ লাখ ৯২ হাজার টাকা ** জো রুট- ১১ কোটি ৪৫ লাখ ২৩ হাজার টাকা ** বিরাট কোহলি- ৮ কোটি ৭৭ লাখ ৪৭ হাজার টাকা ** ফ্যাফ ডু প্লেসি- ৩ কোটি ৬৫ লাখ টাকা ** অ্যাঞ্জেলো ম্যাথুজ- ২ কোটি ৬৫ লাখ ৫৬ হাজার টাকা

** সরফরাজ আহমেদ- ২ কোটি ৪৮ লাখ ৯২ হাজার টাকা ** জেসন হোল্ডার- ২ কোটি ২৪ লাখ টাকা ** কেন উইলিয়ামসন- ২ কোটি ৭ লাখ ৪৭ হাজার টাকা ** সাকিব আল হাসান- ১ কোটি ১৬ লাখ ১৪ হাজার টাকা