আবহাওয়া

ঝড়ের গতিবেগ ঘণ্টায় ৮৩ কিলোমিটার

সকাল থেকে আকাশ বলতে গেলে পরিষ্কার ছিল। রোদের প্রখরতাও ছিল বেশ। আগের দিনের ধারাবাহিকতায় আজ রবিবার বিকেল থেকে আকাশে মেঘ জমতে শুরু করে। আকাশ মেঘাচ্ছন্ন হওয়ায় চারদিকে অন্ধকার নেমে আসে। সন্ধ্যা ছয়টার পর থেকে শুরু হয় কালবৈশাখী ঝড়। আবহাওয়াবিদ আবুল কালাম মল্লিকের মতে, নববর্ষের প্রথম দিন থেকে হিসেব করলে আজকের কালবৈশাখী ঝড় ছিল সবচেয়ে তীব্র। ঢাকার স্টেশনের তথ্য মতে, আজকের ঝড়ের গতিবেগ ছিল ঘণ্টায় ৮৩ কিলোমিটার।

বজ্রমেঘ তৈরি হওয়ায় বাতাসের এই গতিবেগ ছিল ফরিদপুর, টাঙ্গাইলসহ অন্ত্মত ১৫ জেলায়। প্রচণ্ড ঝড়ে গাছ ভেঙ্গে সড়কের ওপর পড়েছে। বাড়িঘর ভেঙেছে দেশের বিভিন্ন জেলায়। রাজধানীতেও সড়কের ওপর গাছ পড়ায় বেশ কয়েকটি স্থানে গড়ি চলাচলে ব্যাহত হয়েছে। আবহাওয়াবিদ আবুল কালাম মল্লিক বলেন, এপ্রিলের এই সময়ে প্রতিবছরই কালবৈশাখী ঝড় হয়। গতবারও তা-ই হয়েছে। বিশেষ করে বিকেল এবং সন্ধ্যার সময় কালবৈশাখী ঝড় আসে। এসময়ে সবাইকে সতর্ক থাকা উচিত।

এদিকে আবহাওয়া অফিস জানিয়েছে, আজকের মতো আগামীকালও দেশের বিভিন্ন স্থানে ঝড়, বৃষ্টি এবং দমকাসহ ঝড়ো বৃষ্টি হতে পারে। বিশেষ করে চট্টগ্রাম ও সিলেট বিভাগে বজ্রসহ বৃষ্টিপাত হতে পারে। এর পাশাপাশি ঢাকা, বরিশাল, ময়মনসিংহসহ অন্যান্য বিভাগেও বৃষ্টি ও কালবৈশাখী ঝড় হতে পারে। আজ রাজধানীতে ৫ মিলিমিটার বৃষ্টি রেকর্ড করা হয়েছে। সর্বোচ্চ বৃষ্টি হয়েছে মংলায় ৪৯ মিলিমিটার। সাতক্ষীরায় ৩৪ মিলিমিটার ও সিলেটে ২৯ মিলিমিটার বৃষ্টি রেকর্ড করা হয়েছে।

আবহাওয়া অফিস বলছে, আজকের তীব্র কালবৈশাখী ঝড় বয়ে গেছে অন্তত ১৫ জেলার ওপর দিয়ে। তার মধ্যে রয়েছে যশোর, খুলনা, কুমিল্লা নোয়াখালী, পটুয়াখালী বরিশাল, ভোলা, টাঙ্গাইল, ময়মনসিংহ, কুষ্টিয়াসহ অন্যান্য জেলা। এসব জেলার ওপর দিয়ে ঘন্টায় ৮৩ কিলোমিটার বেগে কালবৈশাখী ঝড় বয়ে গেছে।

শেয়ার করুন: