নারায়ণগঞ্জ

আজ বিকেলে একটি বিরল ঘটনার সাক্ষী হল বাংলাদেশ

অরক্ষিত অবস্থায় বিদ্যুতের ১৩০ ফুট উঁচু টাওয়ারে উঠে বসে রয়েছেন এক পাগল। তাকে সেখান থেকে নামাতে ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা যখন গলদঘর্ম ঠিক সে সময়ে অভিনব কৌশল গ্রহণ করলেন তারা। খুঁজে আনলেন এক পাগলিকে, সেই পাগলিই হ্যান্ডমাইকে পাগলকে নিচে নেমে আসার আহ্বান জানায়। তবে এতেও কাজ হয়নি। ২০ এপ্রিল, শুক্রবার নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁ উপজেলার কাঁচপুরের জামিল খাঁন কমপ্লেক্সের সামনে এ ঘটনা ঘটেছে।

স্থানীয়রা জানান, শুক্রবার সকালে কাঁচপুর বাসস্ট্যান্ডে জামিল খান কমপ্লেক্সের সামনে ১৩০ ফুট উঁচু বৈদ্যুতিক টাওয়ারের উপরে এক লোককে বসে থাকতে দেখেন। স্থানীয়রা তাকে জাকির পাগল বলে সনাক্ত করে। অরক্ষিত অবস্থায় হাইভোল্টেজের বৈদ্যুতিক টাওয়ারে উঠায় দুর্ঘটনার আশঙ্কায় তারা ফায়ার সার্ভিসকে খবর দেয়।

কিন্তু ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা জাকিরকে নিচে নেমে আসার আহ্বান জানালেও জাকির তাতে কোনো সাড়া দিচ্ছিল না। পরে কৌশল পাল্টান ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা। স্থানীয়দের সহায়তায় তাসলিমা নামের এক পাগলিকে খুঁজে আনেন ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা। পরবর্তী সময়ে তাসলিমাকে বুঝিয়ে জাকিরকে নিচে নেমে আসার জন্য ডাকতে রাজি করানো হয়। তাসলিমার হাতে ধরিয়ে দেওয়া হয় হ্যান্ডমাইক।

সর্বশেষ বিকাল চারটা পর্যন্ত স্থানীয় জনগণ, পুলিশ ও ফায়ার সার্ভিসের সহায়তায় জাকির পাগলকে নিচে নামানোর চেষ্টা চলছে। ফায়ার সার্ভিস অ্যান্ড সিভিল ডিফেন্সের সহকারি পরিচালক মামুনুর রশিদ ঘটনাটি নিশ্চিত করেছেন।

এর আগে ২০১৬ সালে সিদ্ধিরগঞ্জের একটি বৈদ্যুতিক টাওয়ারে উঠে পড়ে এক পাগলি। ওই টাওয়ার থেকে পাগলিকে নামাতে একই কৌশল অবলম্বন করা হয়েছিল বলে জানান স্থানীয়রা। এদিকে উচ্চক্ষমতা সম্পন্ন জাতীয় গ্রিডগুলো এমন অরক্ষিত থাকায় স্থানীয় একাধিক ব্যক্তিকে ক্ষোভ প্রকাশ করতে দেখা গেছে। সিরাজউদ্দিন নামের স্থানীয় এক ব্যক্তি বলেন, টাওয়ারগুলো যেভাবে অরক্ষিত থাকে, ফলে যে কেউ উপরে উঠে যেতে পারে। সবচেয়ে বড় ভয় হয়, এর সুযোগ নিয়ে কেউ যদি নাশকতা চালায় তখন বড় রকমের বিপদ হবে। এ বিষয়ে বিদ্যুৎ বিভাগের লোকজনের নজরদারি বাড়ানো প্রয়োজন।

শেয়ার করুন: