এশা

এশাকে নিয়ে যা বললেন বহিষ্কৃত কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগ নেত্রী মুন

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কবি সুফিয়া কামাল হল ছাত্রলীগের সভাপতি ইফফাত জাহান ইশাকে লাঞ্ছনার ঘটনায় ছাত্রলীগের যে ২৪ জনকে বহিষ্কার করা হয়েছে, তাদের একজন এই আদেশকে গঠনতন্ত্রবিরোধী এবং অন্যায় বলেছেন। বহিষ্কৃত ওই ছাত্রলীগ নেত্রী খালেদা হোসেন মুন। তিনি সরকার সমর্থক ছাত্র সংগঠনটির সাহিত্য বিষয়ক সম্পাদক ছিলেন।

গত ১০ এপ্রিল কোটা সংস্কারে শিক্ষার্থীদের আন্দোলনের সময় সুফিয়া কামাল হলে মোর্শেদা খানম নামে ছাত্রলীগেরই এক নেত্রীর রগ কেটে দেয়ার অভিযোগ ওঠে এশার বিরুদ্ধে। সামাজিক মাধ্যমে এই তথ্য ছড়িয়ে পড়ার পর হাজার হাজার ছাত্র হলের বাইরে এসে বিক্ষোভ করেন। এক পর্যায়ে এশাকে ছাত্রলীগ ও বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বহিষ্কার করা হয়।

পরে জানা যায়, মোর্শেদা জানলায় লাথি মেরে নিজেই পা কেটেছেন। আর ছাত্রলীগের অভ্যন্তরীণ তদন্তে এশা নির্দোষ বলে প্রমাণ হওয়ার তার বহিষ্কারাদেশ তুলে নেয় ছাত্রলীগ। আর ১৬ এপ্রিল মোর্শেদাসহ ২৪ জনকে বহিষ্কার করে ছাত্রলীগ। বহিষ্কৃতদের একজন মুন। বহিষ্কার করার তিন দিন পর বৃহষ্পতিবার ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় সাংবাদিক সমিতিতে সংবাদ সম্মেলন বরে মুন বলেন, ‘তথাকথিত তদন্ত কমিটির মাধ্যমে আমাকে বহিষ্কার করা হয়েছে। অথচ এই তদন্ত কমিটি আমার সঙ্গে কোনো ধরনের যোগাযোগই করেনি।’

‘পাশাপাশি তদন্ত কমিটির প্রতিবেদনের ওপর ভিত্তি করে যাদেরকে বহিষ্কার করা হয়েছে- তাও উদ্দেশ্যপ্রণোদিত বলে মনে হয়। কারণ বহিষ্কৃতদের মধ্যে একজন ঘটনার আগে দেশ ত্যাগ করেন, একজনের ঘটনার ১০ দিন আগে হাতে আঘাতপ্রাপ্ত হন। তাহলে তারা কীভাবে ঘটনায় জড়িত থাকতে পারে?’ ‘কমিটি ঠিকভাবে তদন্ত করলে বহিষ্কৃতদের পূর্ণ নাম না লেখা এবং কয়েকজনের বিভাগ ভুল লেখার কারণ কী?’

নিজেকে নির্দোষ দাবি মুন বলেন, ‘আমি গত এক বছর ধরে হলে থাকি না। ঘটনার রাতেও আমি হলে ছিলাম না। ঘটনায় গঠিত তদন্ত কমিটিও আমার সঙ্গে যোগাযোগ করেনি। তাহলে আমি কীভাবে দোষী হই। কোন অপরাধের ভিত্তিতে আমাকে বহিষ্কার করা হলো?’ ছাত্রলীগ সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক এবং তদন্ত কমিটির প্রতি অনাস্থা জ্ঞাপন করে মুন বলেন, ‘অগঠনতান্ত্রিক এ ঘটনায় দুটি পক্ষই সমানভাবে দায়ী। তাই এ ঘটনায় আমি পুনরায় তদন্তের দাবি জানাচ্ছি এবং প্রধানমন্ত্রীর কাছে ন্যায়বিচার দাবি করছি।’

এশার সঙ্গে তাঁর কোনো দ্বন্দ্ব নেই উল্লেখ করে মুন বলেন, ‘এশা আমারই ছোট বোন ছিল। আমার সহযোগিতায় সে হলে উঠেছে। পরবর্তীতে তার মাধ্যমে এবং প্রশাসনের সহযোগিতায় আমি মেয়েদের হলে উঠাতাম।’ দ্বন্দ্ব না থাকলে এশাকে কেন তার প্রতিপক্ষ হিসেবে দাঁড় করানো হয়েছে- এমন প্রশ্নে মুন বলেন, ‘ছাত্রলীগ সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকের কাছে এটাই আমার প্রশ্ন। কেন আমাকে বিনা অপরাধে বহিষ্কার করা হয়েছে?’

শেয়ার করুন: