আওকিগাহারা জঙ্গল, জাপান
আওকিগাহারা জঙ্গল, জাপান

বিশ্বের ভয়ানক ১০টি জায়গা যেখানে কেউ গেলে ফিরে আসেনা

দুনিয়াতে এমন অনেক জায়গা আছে যার নাম শুনলে গা ছম ছম করে। সেখানে বেড়াতে গেলে ভয় করে। এসব জায়গার সাথে ছড়িয়েছে নানা অলৌকিক কাহিনী। এমনকি ভুতের কাহিনী পযন্ত। বিশ্বের এমন বহু জায়গা আছে যেখানে ভূতের আনাগোনা না থাকলেও ভৌতিক জায়গা বলেই পরিচিত জায়গাগুলি। জেনে নেই বিশ্বের এরকম ১০টি জায়গার কথা।

আইল্যাল্ড অফ ডল, মেক্সিকো: মেক্সিকোর এই কৃত্রিম দ্বীপে জলে ডুবে মারা যায় এক ছোট্ট মেয়ে। ১৯৫০ সালে ওই নদীর ধারেই বসবাসের জন্য এক ব্যক্তি আসেন। তারপর থেকেই ওই ছোট্ট মেয়েটির আত্মা তাঁকে ধাওয়া করে বলে শোনা যায়। তাঁর আত্মাকে শান্ত করার জন্য প্রচুপ সংখ্যক পুতুল কিনে এই দ্বীপের বিভিন্ন গাছে ঝুলিয়ে দেন ওই ব্যক্তি।

পুরানো চাঙ্গি হাসপাতাল, সিঙ্গাপুর: ১৯৩৫ সালে এই হাসপাতালটি তৈরি হয়েছিল। পরে জাপানিরা এই হাসপাতালটি অধিগ্রহণ করে। যুদ্ধবন্দীদের জন্য এই হাসপাতালে একটি গোপন ঘর রাখা হয়েছিল, যেখানে তাদের উপর অত্যাচার চালানো হত। ১৯৯৭ সালে এই হাসপাতালকে নয়া চেঙ্গি হাসপাতালে পরিণত করা হয়। কিন্তু পীড়িতদের আত্মা এখনও শান্তি পায়নি। এখনও হাসপাতালে মানুষের চিৎকারের শব্দ, দরজায় মাথা ঠোকার শব্দ শুনতে পাওয়া যায়।

ভানগড় দূর্গ, রাজস্থান: ভানগড়ের রাজকন্যার মন জয় করতে না পারায় মৃত্যুর আগে এক নির্মম তান্ত্রিক গোটা গ্রামকে অভিশপ্ত করে গিয়েছিল। অভিশাপ দিয়েছিল এই গ্রাম ধ্বংস হয়ে যাবে। এই গ্রামের মানুষ কখনও শান্তিতে থাকতে পারবে না। এরপরই এই ভানগড় দূর্গে মুঘলরা আক্রমণ করে। রাজকন্যা সহ প্রায় ১০,০০০ মানুষের মৃত্যু হয়।

মানুষের ধারণা তান্ত্রিকের অভিশাপের ফলেই এই ঘটনা ঘটেছিল। আর তার পর থেকেই এই দূর্গে অলৌকিক শক্তির আনাগোনা রয়েছে বলেই ধারণা মানুষের। এই অলৌকিক আত্মা তান্ত্রিক ও রাজকন্যার বলেই মনে করা হয়।

সেন্ট অগাস্টিন লাইট হাউস, যুক্তরাষ্ট্র: ১৮২০ সালে এই লাইটহাইসটি তৈরি হয়। যে কেয়ারটেকার মারা গিয়েছেন তার সিগার জ্বলার গন্ধের মতো, মহিলার আর্তনাদ, উপর থেকে কোনও মহিলার তাকিয়ে থাকা একাধিক অলৌকিক ঘটনার সাক্ষী হয়েছেন অনেকে।

রাম ইন, ইংল্যান্ড: পাপাত্মার ত্যাগ এবং হিংসাত্মক কাণ্ডকারখানার কাহিনী প্রচলন রয়েছে এই পুরাতন রাম ইন-এ। এই ইনের মালিক নিজে বলেছেন, প্রথম রাতেই কোনও এক অলৌকিক শক্তি তাঁকে বিছানা থেকে টেনে তুলে এনে হল ঘরে ছুঁড়ে ফেলে দেয়।

শ্যাঁত দ ব্রিসা, ফ্রান্স: ১১ শতাব্দীতে এই দূর্গে ২ টি মর্মান্তিক খুন হয়। এই দূর্গে এক মহিলার আত্মা রয়েছে যার পরনে সবুজ পোশাক, মুখটা পচে যাওয়া কঙ্কালের মতো। সারা দূর্গে এই মহিলা দৌড়ে বেড়ান, চিৎকার করেন। কখনও কাঁদতে বা আর্তনাদ করতেও শোনা যায়।

এভারেস্ট পর্বত, নেপাল: ১৯২৪ সালে নিখোঁজ হয়ে গিয়েছিলেন অ্যান্ডরু ইরভিন। তাঁর দেহ কখনও খুঁজে পাওয়া যায়নি। এই অ্যান্ড্রু ইরভিনের ভুত দেখেছেন বলে অনেক এভারেস্ট পর্বতারোহীই অভিযোগ জানিয়েছেন। পর্বতারোহীদের অভিজ্ঞতায় ইরভিন আরোহীদের বিভ্রান্ত করার চেষ্টা করে। কারণ তিনি এভারেস্টের চূড়ায় পৌছনোর খুব কাছে ছিলেন কিন্তু প্রথমে পৌঁছতে পারেননি।

আওকিগাহারা জঙ্গল, জাপান: এই জঙ্গলকে প্রাণঘাতীও বলা হয়। ফুজি পর্বতের পাদদেশে এই জঙ্গল। এই জঙ্গলে প্রতিবছর একশোরও বেশি মানুষের মৃত্যু হয়। সঠিক সংখ্যাটি সরকার কখনও প্রকাশ্যে আনেনি। যারা নিজেদের জমিকে ভালবাসে এবং জমির টানে মৃত্যুর পরও যেতে পারেনি তাঁরা এই ঘন জঙ্গলেই রয়ে গিয়েছে বলে মনে করা হয়। মাঝে মধ্যেই রাতে তাঁদের চিৎকার ও আর্তনাদও শুনতে পাওয়া যায়।

হাইগেট শ্মশান, ইংল্যান্ড: ১৮৩৯ সালে এই শ্মশানটি তৈরি হয়। লন্ডনের সবচেয়ে ভৌতিক জায়গা বলেই পরিচিত এই শ্মশান। শোনা যায়, এখানে প্রায়ই এক মহিলার ছায়া দেখা যায়। সেই ছায়াকে দৌড়তে দেখা যায়, খুন হতে দেখা যায়। এছাড়াও লম্বা এক ব্যক্তিকে ওভারকোট পড়ে এই এলাকায় ঘুরতে দেখা যায়। যাকে ড্রাকুলা বলা হয়।

দ্য হিল অফ ক্রসেস, লিত্ভা: ১৮৩০ সালে এই পাহাড় তীর্থস্থান হয়ে ওঠে। ১,০০,০০০ ক্রস বা খ্রীষ্টীয় ধর্মবালম্বীর সমাধি রয়েছে এখানে। এই জায়গায় অন্ধকারে অলৌকিক ঘটনার সাক্ষী থেকেছেন অনেকেই। তাই অন্ধকার হওয়ার আগে এই এলাকা থেকে বেরিয়ে যেতে বলা হয়।

শেয়ার করুন: