ভয়ঙ্কর তথ্য : পরকীয়া প্রেম ও সন্তানকে পুড়িয়ে হত্যার বিষয়ে মুখ খুললেন সেই মা নামক ডাইনি!

নারায়ণগঞ্জের আড়াইহাজার উপজেলায় নিজ সন্তানের গায়ে আগুন দিয়ে হত্যার ঘটনায় জবানবন্দি দিয়েছেন শেফালী বেগম। তবে তিনি আগুন দেয়নি আগুন দিয়েছে তার পরকীয়া প্রেমিক মোমেন।

শনিবার (১৪ এপ্রিল) বিকালে নারায়ণগঞ্জ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মেহেদী হাসানের আদালত শেফালীর জবানবন্দি রেকর্ড করেছেন।

এর সত্যতা নিশ্চিত করে মামলার তদন্তকারী অফিসার এসআই কাশেম জানান, শেফালীকে ওষুধ খাইয়ে ঘুম পারিয়ে তার দুই সন্তানের গায়ে আগুন দেয় পার্শ্ববর্তী বাড়ির মোমেন। এ খবর প্রকাশ করেছে দেশের একটি জনপ্রিয় দৈনিক।

ওই প্রতিবেদনে বলা হয়, এ সময় অগ্নিদগ্ধ হয়ে হৃদয় (৯) মারা যায়। আশপাশের লোকজন আরেক সন্তান অগ্নিদগ্ধ শিহাবকে (৭) উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেয়া হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে বার্ন ইউনিটে স্থানান্তর করেন।

তার অবস্থাও আশঙ্কাজনক। এদের মধ্যে হৃদয় ৩৫নং বাড়ৈপাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের পঞ্চম শ্রেণির ছাত্র। আর দগ্ধ তার ছোট ভাই জিহাদ হোসেন শিহাব (৭) একই স্কুলের তৃতীয় শ্রেণির ছাত্র। তাদের বাবার নাম আনোয়ার হোসেন। সে দীর্ঘদিন ধরে লিবিয়া প্রবাসী।

ওই প্রতিবেদনে আরও বলা হয়, এদিকে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে মোমেন ও শেফালীর একাধিক ছবি ভাইরাল হয়ে উঠেছে। এতে দেখা গেছে দুইজনের ঘনিষ্ঠ সময়ের একাধিক ছবি।

স্থানীয়রা জানান, এ ছবিটি কয়েক বছর আগের। ওই ছবি ও এ সম্পর্কিত ভিডিও ধারণ করেই মূলত মোমেন নিজেই শেফালির সঙ্গে অনৈতিক কাজে জড়াত।

এছাড়া আরেকটি ছবিতে মোমেনকে দেখা গেছে সেখানকার যুবলীগ নেতা ইকবাল পারভেজের সঙ্গে। মোমেন মূলত ইকবাল পারভেজের কর্মী বলে জানা গেছে।

এলাকাবাসী ও পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, প্রায় ১১ বছর আগে বাড়ৈপাড়ার বিল্লাল হোসেনের ছেলে আনোয়ার হোসেনের সঙ্গে কেরানীগঞ্জের সুন্দর আলীর মেয়ে শেফালীর বিয়ে হয়। ওই দম্পত্তির ঘরে দুই ছেলের জন্ম হয়।

আনোয়ার বিদেশে থাকার সময় পার্শ্ববর্তী মোমেনের সঙ্গে পরকীয়ায় জড়িয়ে পড়েন শেফালী। এনিয়ে তিন মাস আগে এলাকায় কয়েকবার সালিশ বৈঠকও হয়। তখন সিদ্ধান্ত হয় শেফালী বাবার বাড়িতে চলে যাবেন।

শেয়ার করুন: