মহেশ ভাট

‘নিজের মেয়েকে বউ করতে চেয়েছিলেন মহেশ ভাট’

বলিউডের চলচ্চিত্র পরিচালক-প্রযোজক মহেশ ভাটের নির্মিত ছবি বিভিন্ন সময়ে নানা কারণে বিতর্কের ঝড় তুলেছে। কিন্তু শুধু ছবি নয়, ব্যক্তিগত জীবনেও তিনি ব্যতিক্রমী। তার নিজস্ব জীবনচর্যাও বিভিন্ন সময়ে আলোচনার কেন্দ্রবিন্দু হয়েছে।

অনেকেই জানেন না যে, মহেশ ভাটের বাবা-মা বিবাহ-বন্ধনে আবদ্ধ হননি। তার বাবা ছিলেন হিন্দু, আর মা ম‌ুসলমান। পরবর্তী সময়ে বাবার সঙ্গে মহেশের মানসিক দূরত্বও তৈরি হয়।

জীবনে বহু নারীর সঙ্গে প্রেমের সম্পর্কে জড়িয়েছেন মহেশ। শোনা যায়, কল‌েজ-জীবনে লোরিয়েন ব্রাইট নামের এক নারীর সঙ্গে সম্পর্ক গড়ে ওঠে মহেশের। পরবর্তীকালে মহেশ ভাট ওই নারীর নাম পরিবর্তন করে রাখেন কিরণ। এই কিরণই মহেশের সন্তানই পূজা ভাট এবং রাহুল ভাটের মা।

কিরণের সঙ্গে বিবাহিত জীবনযাপনের সময়েই অভিনেত্রী পারভিন বাবির সঙ্গে প্রেমসম্পর্ক শুরু হয় মহেশের। এ কারণেই কিরণের কাছ থেকে দূরে সরে আসেন মহেশ। কিন্তু পারভিনের সঙ্গে মহেশের সম্পর্কও দীর্ঘস্থায়ী হয়নি। পারভিন আর মহেশের মধ্যেও কালক্রমে তৈরি হয় দূরত্ব।

এরপর সোনি রাজদানের সঙ্গে জড়িয়ে পড়েন মহেশ। জন্মগতভাবে হিন্দু হলেও সোনিকে বিয়ে করবেন বলে ইসলাম ধর্মে দীক্ষিত হন তিনি। আলিয়া ভাট এবং শাহিন ভাট সোনি রাজদানেরই কন্যা।

তবে মহেশকে নিয়ে বিতর্ক তুঙ্গে ওঠে যখন একটি নামজাদা ম্যাগাজিনের কাভার শ্যুটের জন্য মেয়ে পূজা ভাটের ঠোঁটে ঠোঁট রেখে চুমু খান তিনি। নিবিড়ভাবে চুম্বনরত বাবা-মেয়ের এই ছবি পত্রিকার প্রচ্ছদে প্রকাশিত হতেই দেশজুড়ে আলোড়ন শুরু হয়। বহু গণসংগঠন বাবা-মেয়ের এ আচরণকে ‘অশ্লীলতা’ বলে দাবি করে বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করে।

পূজা-মহেশ বিতর্ক এখানেই থামেনি। এই ছবি প্রকাশ হওয়ার কিছুদিন পরে একটি নামী পত্রিকায় সাক্ষাৎকার দিতে গিয়ে মহেশ বলেন, ‘আমি পূজাকে বিয়ে করতে চাই। ও যদি আমার মেয়ে না হতো, তা হলে আমি সত্যিই ওকে বিয়ে করতাম।’ এই মন্তব্যে বিতর্কের যজ্ঞে যেন ঘৃতাহূতি পড়ে।

শেয়ার করুন: