নীরব স্থান

বিশ্বের সবচেয়ে নীরব স্থান, যে কক্ষে দাঁড়ালে শুনবেন নিজের হার্টবিট!

পিনপতন নীরবতা কথাটি অনেকেই শুনেছেন। কিন্তু বাস্তবে একটি পিন পড়লেও যে শব্দ হবে তা এই কক্ষে গেলেই আপনি বুঝতে পারবেন। আর তেমনই কক্ষ তৈরি করেছে মাইক্রোসফট তাদের হেডকোয়ার্টারে।

মাইক্রোসফটের এই কক্ষ বর্তমানে বিশ্বের সবচেয়ে নীরব স্থান হিসেবে গিনেস বুক অব ওয়ার্ল্ড রেকর্ডে নাম লিখিয়েছে।

এ কক্ষে আপনি নিজের হার্টবিট বা বুকের ধুকপুকুনি শুনতে পারবেন অনায়াসেই। শুধু তাই নয়, নড়াচড়া করলেই শোনা যায় হাড়ের শব্দ। এখানে আপনি এমনি কি শরীরের ভারসাম্যও হারাতে পারে। কারণ প্রতিধ্বনির অভাবে স্থান-কাল সচেতনতা হারিয়ে যেতে পারে।

যুক্তরাষ্ট্রের ওয়াশিংটনে মাইক্রোসফটের সদরদপ্তর রেডমন্ডে অবস্থিত এই কক্ষ। এই কক্ষে নিজের শরীরের অর্গানগুলোর আওয়াজ ছাড়া আর কিছুই শোনা যায় না।
বাইরের পৃথিবীর কোনো আওয়াজ এখানে পৌঁছায় না। আবার ভেতরে সৃষ্টি কোন শব্দ চট করে বন্ধ করা যায় না। এই কক্ষকে ‌‘অ্যানেচোইক’ চেম্বারও বলা হয়ে থাকে। কারণ এখানে কোনো প্রতিধ্বনি হয় না। ঘরটির ব্যাকগ্রাউন্ডের শব্দ নেই বললেই চলে।

মাইক্রোসফটের অন্য চেম্বারের মতো এই চেম্বারটিও জনসাধারণের জন্য উন্মুক্ত। সম্প্রতি পর্যটকদের কাছে ঘরটি আকর্ষণীয় স্থান হিসেবে পরিচিতি পেয়েছে।

পৃথিবীর সবচেয়ে শান্ততম জায়গা হিসেবে পরিচিত কক্ষটি এক ধরনের বিশেষ সংবেদশীল অভিজ্ঞতাও প্রদান করে। যদি কেউ কক্ষে খুব তাড়াতাড়ি প্রবেশ করে তবে তার এক অদ্ভুত অনুভূতি হবে, যা বর্ণনা করা কঠিন।

বিশ্বের অন্যান্য ভবনের চেয়ে এর ডিজাইন সম্পূর্ণ আলাদা। এই কক্ষটি তৈরির পরিকল্পনা এবং নির্মাণে দেড় বছরেরও বেশি সময় লেগেছিলো, জানান গোপাল।

এই বিশেষ কক্ষ নীরবতার মাত্রা মাইনাস ২০.৬ ডিবি। যেটিকে অকল্পনীয় নীরব হিসেবে অ্যাখা দিয়েছে পরীক্ষকরা। এর মানে চেম্বারটির শব্দ মানুষের শব্দ শ্রবণের হার ২০.৩ ডিবির নীচে। ঘরটি মূলত শব্দ উচ্চমানের বৈজ্ঞানিক নির্ভরযোগ্যতাসহ বিভিন্ন ধরনের পণ্য থেকে আসা শব্দ পরীক্ষা করতে ব্যবহৃত হয়। প্রচুর পর্যটকও অবশ্য এ কক্ষ ভ্রমণ করছেন।

শেয়ার করুন: