ডিএমপি

পহেলা বৈশাখে ডিএমপির ট্রাফিক নির্দেশনা

পহেলা বৈশাখ উদযাপন উপলক্ষে রমনা পার্ক, সোহরাওয়ার্দী উদ্যান, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের টিএসসি, ধানমন্ডি রবীন্দ্র সরোবর ও হাতিরঝিল এলাকায় থকবে জমজমাট। ওই স্থানগুলো ছাড়াও রাজধানীতে বিভিন্ন সংগঠন দিনব্যাপী অনুষ্ঠান করবে। বাংলা নববর্ষের শুরু সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত ঢাকা মহানগর এলাকায় এসব অনুষ্ঠানস্থলে আগত জনসাধারণ যাতে নিরাপদ ও নির্বিঘ্নে নববর্ষের অনুষ্ঠান উপভোগ করতে পারে সে লক্ষ্যে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ পর্যাপ্ত নিরাপত্তা ও ট্রাফিক ব্যবস্থা গ্রহণ করেছে।

বৃহস্পতিবার বেলা সাড়ে ১১টার দিকে ডিএমপির মিডিয়া সেন্টারে এক সংবাদ সম্মেলনে পহেলা বৈশাখের নিরাপত্তা ও ট্রাফিক ব্যবস্থার চিত্র তুলে ধরেন ডিএমপির রমনা বিভাগের উপ-কমিশনার (ডিসি) মারুফ হোসেন সরদার এবং ট্রাফিক দক্ষিণ বিভাগের উপ-কমিশনার (ডিসি) এস এম মুরাদ আলী।

রমনা পার্ক এলাকায় প্রবেশের ক্ষেত্রে: রমনা রেস্তোরাঁ গেট, অস্তাচল গেট (শিশু পার্কের বিপরীতে), অরুণোদয় গেট (সুগন্ধার বিপরীতে), শ্যামলীমা গেট (কাকরাইল মসজিদের দক্ষিণে), স্টার গেট (মৎস্য ভবন ক্রসিং) ও নতুন গেট (বৈশাখী অস্তাচল গেটের মাঝামাঝি) পথ ব্যবহার করে তল্লাশির মাধ্যমে প্রবেশ করতে পারবেন।

রমনা পার্ক থেকে বাহির পথ: উত্তরায়ন গেট (মিন্টো রোডের পশ্চিম প্রান্ত) ও বৈশাখী গেট (আইইবি’র বিপরীতে) ব্যবহার করতে পারবেন। প্রবেশের নির্ধারিত শেষ সময়ের পর রমনা পার্কের সব গেট বের হওয়ার গেট হিসেবে ব্যবহার করে দর্শনার্থীরা বের হতে পারবেন। এছাড়াও রমনা পার্কে প্রবেশ ও বের হওয়ার ক্ষেত্রে কিছু বিশেষ নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। তা হচ্ছে, ছায়ানটের শিল্পী ও কলাকুশলীরা রমনা রেস্তোরাঁ গেট দিয়ে এবং সকাল ৬টা পর্যন্ত বৈশাখী গেট দিয়ে প্রবেশ করতে পারবেন।

রমনা পার্কের ভেতরে প্রবেশ এবং বাহির গেটগুলো চিহ্নিত করে ‘প্রবেশ গেট’ এবং ‘বাহির গেট’ লেখা বড় আকারের অ্যারো সাইনের ডিজিটাল ব্যানার/সাইনবোর্ড দৃশ্যমান স্থানে স্থাপন করা হবে। সোহরাওয়ার্দী উদ্যান: শিখা চিরন্তন গেট, বাংলা একাডেমির বিপরীতে নতুন গেট ও তিন নেতার মাজার সংলগ্ন গেট দিয়ে সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে প্রবেশ করা যাবে। কালী মন্দির গেট ও আইইবি গেট ব্যবহার করে বের হওয়া যাবে।

সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের ভেতরে প্রবেশ এবং বের হওয়ার গেটগুলো চিহ্নিত করে ‘প্রবেশ গেট’ এবং ‘বাহির গেট’ লেখা বড় আকারের অ্যারো সাইনের ডিজিটাল ব্যানার/সাইনবোর্ড দৃশ্যমান স্থানে স্থাপন করা হবে। টিএসসি ও ছবির হাট গেট সম্পূর্ণ বন্ধ থাকবে। নববর্ষের দিন বিকাল ৫টার পর সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের সব প্রবেশ গেট বাহির গেট হিসেবে ব্যবহৃত হবে।

রমনা পার্ক ও সোহরাওয়ার্দী উদ্যানকেন্দ্রিক ২৬টি ডাইভারশন পয়েন্ট: সোনারগাঁও ক্রসিং, বাংলা মটর ক্রসিং, পরিবাগ গ্যাপ, মৎস্য ভবন ক্রসিং, কার্পেট গলি, নেভাল চিফ গলি, সাকুরার গলি, পুলিশ ভবন ক্রসিং, সবজি বাগান ক্রসিং, মিন্টো রোড পূর্ব প্রান্ত, অফিসার্স ক্লাব ক্রসিং, সুগন্ধা ক্রসিং, কাকরাইল চার্চ ক্রসিং, শিল্পকলা একাডেমি গলি, দুদকের গলি, ইউবিএল ক্রসিং, জিরো পয়েন্ট ক্রসিং, হাইকোর্ট ক্রসিং, রোমানা চত্বর ক্রসিং, বকশী বাজার ক্রসিং, পলাশী ক্রসিং, নীলক্ষেত ক্রসিং, কাঁটাবন ক্রসিং, আজিজ সুপার মার্কেট ক্রসিং, প্রশাসন একাডেমি গলি ও শাহবাগ ক্রসিং।

৮টি পয়েন্টে গাড়ি পার্কিং ব্যবস্থাপনা (এক লেনে): হলি ফ্যামিলি হাসপাতাল রোড (উত্তর দিক থেকে আগত), পুরাতন এলিফ্যান্ট রোড (উত্তর দিক থেকে আগত), আব্দুল গণি রোড (পূর্ব-দক্ষিণ দিকের গাড়ি), কার্জন হল থেকে বঙ্গবাজার হয়ে ফুলবাড়িয়া (দক্ষিণ দিকের গাড়ি), মৎস্য ভবন থেকে কার্পেট গলি (আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর গাড়ি), শিল্পকলা একাডেমি গলি (আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর গাড়ি), সুগন্ধা থেকে অফিসার্স ক্লাব (ভিআইপি ও মিডিয়ার গাড়ি), কাঁটাবন থেকে নীলক্ষেত হয়ে পলাশী পর্যন্ত (দক্ষিণ-পশ্চিম দিকের গাড়ি)।

অনুষ্ঠানকেন্দ্রিক ৭ সড়কে যান চলাচল সম্পূর্ণ বন্ধ থাকবে: বাংলা মটর-রূপসী বাংলা-শাহবাগ-টিএসসি-দোয়েল চত্বর, রূপসী বাংলা-কাকরাইল-মৎস্য ভবন-কদম ফোয়ারা, মৎস্য ভবন-শাহবাগ-কাঁটাবন, পলাশী-শহীদ মিনার-দোয়েল চত্বর-হাইকোর্ট ক্রসিং, বকশী বাজার-শহীদ মিনার-টিএসসি, শহীদুল্লাহ হল ক্রসিং-দোয়েল চত্বর, নীলক্ষেত-টিএসসি।

অনুষ্ঠানস্থলের আশপাশে যান চলাচলের বিকল্প রুট: মিরপুর রোড-সায়েন্স ল্যাবরেটরি-নিউ মার্কেট-আজিমপুর-বকশী বাজার-চাঁনখার পুল-গুলিস্তান, রাসেল স্কয়ার-সোনারগাঁও-রেইনবো-মগবাজার-মালিবাগ-রাজমনি-ইউবিএল-গুলিস্তান, মহাখালী-সাতরাস্তা-মগবাজার-কাকরাইল-রাজমনি-ইউবিএল-গুলিস্তান, ফার্মগেট-সোনারগাঁও-বাংলামটর-মগবাজার-মৌচাক-মালিবাগ-খিলগাঁও, ফার্মগেট-সোনারগাঁও-বাংলা মটর-মগবাজার-কাকরাইল চার্চ-রাজমনি-পল্টন-মতিঝিল।

শেয়ার করুন: