তার সুগন্ধিতে মেশকের ঘ্রাণও তুচ্ছ মনে হতো। তার মসৃণ ভরাট পদযুগল। পদক্ষেপ ছিল দৃঢ়। চওরা কাঁধ, প্রশস্ত বক্ষ, সবল মেরুদণ্ড ও সুদৃঢ় পেশী। স্বাস্থ্যবান, শক্তিশালী, সুঠাম ও সুন্দর দেহ। মাঝারি উচ্চতা, ইষৎ কোঁকড়ানো ঘন কালো চুল কখনো গুচ্ছাকারে প্রায় কাঁধ ছুঁয়ে থাকতো। মুখমন্ডল ছিল ডিম্বাকার। প্রশস্ত উঁচু ললাটের নিচে সুন্দর সুদীর্ঘ ও বাঁকানো দুটি ভ্রূ। গভীর কালো চোখ দুটো টানা দীপ্তিময়।
Thank you for reading this post, don't forget to subscribe!সামান্য উঁচু আকর্ষণীয় দ্যুতিময় নাক। সুগঠিত ঝকঝকে সাদা দাঁত। মুখে চমৎকার পৌরুষদীপ্ত ঘন শ্মাশ্রু। গায়ের ত্বক ছিল স্বচ্ছ ও নরম, রং উজ্জল, রক্তিমাভ, গোলাপী। ঘাম দেখা দিলে তা মুক্তার মত ঝলমল করত। আর তার সুগন্ধিতে মেশকের ঘ্রাণও তুচ্ছ মনে হতো।
হাত দুটো ছিল রেশমের মতো নরম ও মোলায়েম। মসৃণ ভরাট পদযুগল। পদক্ষেপ ছিল দৃঢ়। হাঁটার সময় মনে হতো কোন উঁচু যায়গা থেকে নিচে নামছেন। মুখ ঘোরালে গোটা শরীরটাই ঘোরাতেন। তাকে দেখে মনে হতো চিন্তাশীল, ধ্যানমগ্ন ও গম্ভীর। কিন্তু সেই সাথে সদা সচেতন। তিনি হাসতেন। কিন্তু তা কখনো মুচকি হাসির সীমা ছাড়িয়ে যেত না।
তিনি আর কেউ নয়, তিনি আমাদের প্রিয় নবী হযরত মোহাম্মদ (সা.)। যার সীমাহীন ত্যাগ ও ভাষাতীত কোরবানির ফলে পেয়েছি আমরা মহাগ্রন্থ আল কোরআন। হযরত যাবের (রা.) বলেন, ‘এক পূর্ণমার রাতে আমি রাসূল (সা.) কে দেখেছিলাম। তখন তিনি লাল ডোরাকাটা পোশাক পড়েছিলেন। আমি একবার চাঁদের দিকে আরেকবার রাসূল (সা.) এর দিকে তাকাতে লাগলাম। অবশেষে আমি দৃঢ় সিদ্ধান্তে পৌঁছলাম যে, আমার প্রিয় হাবীব (সা.) চাঁদের চেয়ে বহুগুন বেশি সুন্দর।’