দরুদ শরিফ

দরুদ শরিফের অসামান্য বরকত

দরুদ শরিফের বরকত অসীম। ফকীহ আবুল লাইস সমরকন্দী (রহ.) বলেন, আমি আমার পিতাকে এ ঘটনা বলতে শুনেছি, একদিন হজে তওয়াফ করার সময় হজরত সুফিয়ান সওরী (রহ.) এক ব্যক্তিকে দেখলেন যে, সে পা তুলতে এবং পা ফেলতে দরুদ শরিফ পড়ছে।

আমি তাকে বললাম আরে ভাই, আপনি যে তাসবিহ ও তাহলিল ছেড়ে শুধু দরুদই পড়ছেন এর কি কোনো রহস্য আছে? লোকটি বলল, যদি আপনি এ যুগের অখ্যাত ও অপরিচিত লোক হতেন, তাহলে আপনাকে এর রহস্যের কথা বলতাম না। তারপর সে আমাকে বলল, একদিন আমি এবং আমার পিতা অসুস্থ হয়ে পড়লে আমি তার সেবা করতে লাগলাম। এক রাতে আমি তার শিয়রে বসে আছি এমন সময় আমার পিতা ইন্তেকাল করলেন।

ইন্তেকালের পর দেখতে পেলাম, তার চেহারা কালো হয়ে গেল। এমনটা দেখে আমি বললাম, ইন্নালিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন। তারপর আমি চাদর টেনে তার চেহারা ঢেকে দিলাম।

দরুদ

এরপর আমার ঘুম এসে গেল। স্বপ্নে দেখি একজন লোক এলো, যার শরীরে কাপড় ছিল খুব পরিচ্ছন্ন এবং গায়ের রং ছিল সুন্দর। এত সুন্দর মানুষ আমি কখনো দেখিনি। লোকটি আমার পিতার দিকে এগিয়ে এলো এবং তার মুখ থেকে কাপড় সরিয়ে হাত দ্বারা চেহারা মুছে দিল। সঙ্গে সঙ্গে তার চেহারা উজ্জ্বল হয়ে গেল। এরপর লোকটি চলে যেতে লাগলে আমি তার কাপড় আঁকড়ে ধরে বললাম হে, আল্লাহর বান্দা! আপনি কে, যে এ অচেনা অঞ্চলে আমার পিতার প্রতি রহম করলেন?

লোকটি বলল, তুমি কি আমাকে চেন না? আমি মহানবী (সা.) শোন! তোমার পিতা নিজের ওপর জুলুম করত। তবে বেশি বেশি আমার প্রতি দরুদ পাঠ করত কিন্তু কিছুক্ষণ ধরে তার দরুদ আমার কাছে পৌঁছে না। আমি ফিরিশতাকে জিজ্ঞাসা করলাম দরুদ না আসার কারণ কী? ফিরিশতা বললেন, তিনি মৃত্যুবরণ করেছেন। তাই আমি মহানবী (সা.) এসেছি। আমি তাকে সাহায্য করি। এরপর আমার ঘুম ভেঙে গেল। ঘুম থেকে জেগে বাস্তবেই দেখি আমার পিতার চেহারা উজ্জ্বল ও ঝলমলে হয়ে গেছে।

শেয়ার করুন: